পঞ্চম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয়েছে। এবারের আসরে ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০টি পুরস্কার দেওয়া হয়। আসরে অংশগ্রহণের জন্য ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৬৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। সেখান থেকে ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন হয়। তার মধ্যে সেরাদের বাছাই করেন বিচারকরা।
তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ দিন ছিল রোববার (১ অক্টোবর)। এ দিন সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এবারের আসরে মোট ৯টি ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন হয়। আসরে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বাংলাদেশি নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত মিরাকেল ইন হ্যাভেন (বাংলাদেশ), আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে আলজেন্ড জিওরল্যান্ডো পরিচালিত রেসেস (আর্জেন্টিনা), সেরা সম্পাদক হোয়্যার ইজ দ্যা গভর্নর চলচ্চিত্রের কেব তেজেদা (মেক্সিকো), সেরা সিনেমাটোগ্রাফার চিলেকোঠা চলচ্চিত্রের সৌমজয়তি সরকার (ভারত), সেরা অভিনেতা দ্যা মিডনাইট গার্ল চলচ্চিত্রের খায়রুল বাশার (বাংলাদেশ), সেরা অভিনেত্রী দ্যা ডেলিভারি চলচ্চিত্রের মার্তা সিসলোয়িকজ (পোল্যান্ড)।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বিজয়ীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর পার্থ প্রতিম বর্মন, সিলেট চলচ্চিত্র সংসদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি।
পুরস্কার বিতরণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আতিকুজ্জামান বলেন, ‘চলচ্চিত্র একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। যার ফলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার ফুটে উঠে। বিশ্বের যে ১১১টি দেশ থেকে চলচ্চিত্রগুলো জমা পড়েছে, তাদের সঙ্গে আমাদের দেশের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের চলচিত্র উৎসব আগামীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।’
বাংলাদেশি নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মিরাকেল ইন হ্যাভেনের পরিচালক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এখানে পুরস্কার পেয়ে নিঃসন্দেহে খুব ভালো লাগছে। এ ধরনের পুরস্কার আমাদের মতো নির্মাতাদের খুবই উৎসাহ দেবে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা অনেক সুন্দর একটা প্রোগ্রাম সফলভাবে আয়োজন করছে সক্ষম হয়েছে।’
এবারের এ উৎসবে বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৬৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে থেকে বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য মিলেয়ে মোট ১০৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, চলচ্চিত্র সমালোচক ও কিউরেটর প্রেমেন্দ্র মজুমদার ও ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রিতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়া আফরিন মৌ।
মন্তব্য করুন