খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘গবেষণায় বরাদ্দপ্রাপ্ত এই অর্থ জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা যেন মানসম্মত হয় এবং এর ফল যেন সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে আসে।’
সোমবার (৯ অক্টোবর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব/উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গবেষণা প্রকল্পে ৩২ জন গবেষকের গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘গবেষকের কাজ গবেষণা করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রচার করা। বর্তমান সময়ে গবেষণার ক্ষেত্রে গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট দেখা হয়। এজন্য গবেষণার যথাযথ মান ধরে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি কোলাবরেটিভ রিসার্চের দিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন সবই আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি। এখন প্রয়োজন ভৌত অবকাঠামোর উন্নতি। কারণ মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য গুণগত পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘গবেষণার জন্য সিনিয়র শিক্ষকদের পাশাপাশি আজ অনেক নবীন শিক্ষক অনুদান পেয়েছেন এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এখানকার শিক্ষকরা গবেষণার জন্য যে নিবেদিত তা আবারও প্রমাণিত হলো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গবেষণা বরাদ্দ ৩৫ লাখ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক দিক। শিক্ষকদের পাশাপাশি মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উৎসাহিত করতে অনুদান দেওয়া হয়েছে।’
গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। আগামী দুই বছরে আরও দ্রুতগতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। এই এগিয়ে যাওয়ার পথে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেখিয়েছে কীভাবে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হয়। ফলে আজ অনেক ফোরামে আমাদের এই উন্নতির চিত্রকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস।
অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আজাহারুল ইসলাম এবং প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আসমা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন