জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের সকল অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য, নতুন ক্যাম্পাস ও বর্তমান ক্যাম্পাসে নানান কাজে দুর্নীতি এবং চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পরিবারের প্রতিষ্ঠান ‘এডিএল’ কে কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ সব অনিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, সিনিয়র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কোষাধ্যক্ষের অনিয়মগুলো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি আকারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প স্থাপন কেরানীগঞ্জ এ সাকা চৌধুরীর পরিবারের প্রতিষ্ঠান এডিএলকে লেনদেনের মাধ্যমে বারবার কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা প্রদান করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকরা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত নেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন।
চিঠিতে বলা হয়, কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন বিএনপিপন্থি শিক্ষক সমিতির সাদা দলের আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন। এমনকি তিনি সাদা দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও করেন।
এ ছাড়া তিনি কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক থাকায় তিনি পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনি মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। এসব কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক রায়ে জবির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন আহমেদকে অদক্ষ প্রশাসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আশপাশে এমন এমন একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি চারপাশে দুর্নীতির জাল এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন যা ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির নেপথ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা মনে করি ট্রেজারার স্যারের দুর্নীতির বিষয়ে যদি গোয়েন্দা সংস্থা বা বিভাগীয় তদন্ত করা হয়, তাহলে তার দুর্নীতির বিষয় আরও ফুটে উঠবে।
অভিযোগের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন