অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ জুলাই) মধ্যরাতে দুই সহযোগী নিয়ে এই ভাঙচুর চালান বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্য।
জানা গেছে, এর আগে কাব্য মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জেল খাটেন। এ ছাড়াও মদ্যপ অবস্থায় ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয় তাকে।
ভঙচুরের সময় কাব্যের অন্য দুই সহযোগী হলেন সালমান আজিজ ও আতিক আরমান। তারা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে ইবি মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন কাব্য। পরে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যেতে চান তিনি। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায় ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তারা। এ ছাড়া তাকে মারধরও করা হয়। এরপর জোর করে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যান কাব্য।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে তাদের আটকান সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও সিকিউরিটি অফিসার আবদুস সালাম সেলিম। এ সময় তাদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডা করেন কাব্য। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে নিরাপত্তাপ্রহরীসহ কুষ্টিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে ঘটনার সময় ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন বলেন, বুকের ব্যথার জন্য চিকিৎসা নিতে এলে কাব্যকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপরও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অ্যাম্বুলেন্স চান কাব্য। অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় তিনি ভাঙচুর চালান।
মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে এসে জরুরি বিভাগে সবকিছু ভাঙচুর অবস্থায় পেয়েছি। পরে বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনকে জানিয়েছি। এরপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। আমরা এ বিষয়ে আজকের মধ্যেই প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় সেখানে প্রো-ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারও ছিলেন। আমরা এ বিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন