ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্তৃপক্ষের নিষেধ অমান্য করে দুই শিক্ষকের রাতের বেলা একাডেমিক ভবনে প্রবেশের অভিযোগ তুলেছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। এ দিকে ভবনের নিজ কক্ষে অবস্থান করায় আনসার সদস্যের কাছে হেনস্তা হওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনায় ইবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
রোববার (১২মে) বিষয়টি জানিয়েছে সংগঠনটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার দাবি করেন তারা।
আনসারদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী ফতেহ আলী কর্তৃপক্ষের নিষেধ অমান্য করে অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী কার্যালয় ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ওই ভবনে থাকায় তাকে ঢুকতে নিষেধ করেন তারা।
এদিকে একই সঙ্গে ‘এ’ ইউনিটের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে প্রবেশ করেন আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন। রাত ৮টার পর এসব ভবনে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কাজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ নিষেধ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন তাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা।
এ দিকে পাল্টা অভিযোগে ড. শিবলী বলেন, রাত ১১টার পর আমার বিভাগীয় কক্ষে প্রবেশের অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি সন্ধ্যার পর থেকেই বসার কক্ষে কাজ করছিলাম। তখন একজন আনসার সদস্য এসে প্রক্টর আমাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। তখন প্রক্টরকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। পরে আনসার সদস্যকে এ বিষয়ে বললে তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুস সালাম সেলিম পাঠিয়েছেন বলে জানান। আমি বাইরে এসে সেলিমের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এ ঘটনার পর গত ৬ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় দুই শিক্ষককে হেনস্থার ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পিসি ও আনসার সদস্যদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান সংগঠনটি।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে না পারার বিষয়ে কোনো লিখিত বা মৌখিক নির্দেশনা ছিল না। এ অবস্থায় দুজন শিক্ষক নিজ নিজ কক্ষে একাডেমিক কাজ করার বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন ও অনভিপ্রেত। এ ঘটনায় আমরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
মন্তব্য করুন