জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মধ্যরাতে জবির মসজিদে ছাত্রী, কী ঘটেছিল সেদিন!

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মসজিদের ইমাম সালাহ উদ্দীনকে ইমামতির কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৭ মে) এই অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার পরে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ঘটনাটি এখন আলোচনার শীর্ষে। ঘটনাটি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম সালাহ উদ্দীনকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে, অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে একাধিক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমি ওইদিন মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে মসজিদের দায়িত্বে থাকা একজন দেখতে পেলে তিনি তার সঙ্গে একজন মহিলা (হয়তো তার স্ত্রী হবে) আমাকে ওই রুম থেকে বের করে আনেন।

ওই গণমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, ইমাম সাহেব তখন ভেতরেই প্রবেশ করেননি। পরে বাইরে আসলে ওখানে থাকা অবস্থায় ইমাম সাহেব প্রক্টর স্যারকে কল দেন। সেখানে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে মোবাইলে আমার কথা হয়। প্রক্টর স্যার আমাকে বলেন, তুমি তোমার হলের হাউস টিউটরকে কল দাও। পরবর্তীতে আমি আমার হাউস টিউটরকে কল দিলে উনি বলেন, আচ্ছা তুমি হলে চলে আসো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি ১৫ মে রাতের। মসজিদের ইমামই আমাকে ফোন দেন। অনেকে ফেসবুকে ভিন্নভাবে লিখছে। ইমামের সঙ্গে কথা বলার পর আমি ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলি। তখন পাশ থেকে ইমাম ওই মেয়েকে কথা শিখিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমি সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই এবং ওই ছাত্রীকে ওখানেই থাকতে বলি। কিন্তু ওই সহকারী প্রক্টর যাওয়ার আগেই তিনি হলে চলে যান।

প্রক্টর বলেন, ঘটনাটি বিস্তারিত জানার জন্য পরদিন ইমামকে প্রক্টর অফিসে আসতে বলি কিন্তু সে আর দেখা করেনি।

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ছাত্রীদের নামাজ পড়ার স্থানে ছাত্রী ঘুমিয়ে থাকা ও সংশ্লিষ্টদের কারণ বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর খালিদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী, আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এএনএম আসাদুজ্জামান ফকিরকে রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি দ্রুত বিস্তারিত বিষয়টি তুলে আনবে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি তদন্তের জন্য দাপ্তরিক চিঠি পেয়েছি। এখন আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করব। তবে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১০

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

১১

হামলা মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার লালমনিরহাটের ৬ সাংবাদিক

১২

কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জায় আত্মহত্যা

১৩

প্যারিসের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

১৪

ট্রলার উদ্ধারে গিয়ে ডুবল স্পিডবোট, সৈকতে ভেসে এল ২ মরদেহ

১৫

সিলেটে ‘অবৈধ’ নিয়োগে প্রভাষক জালিয়াতিতে অধ্যক্ষ!

১৬

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

১৭

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

১৮

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

১৯

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

২০
X