কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেড় বছরেও ভাইভা বোর্ডের রেজাল্ট পাননি কুবি শিক্ষক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আকবর হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আকবর হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষক নিয়োগের ভাইবার দেড় বছর পার হলেও এখনো মেলেনি ভাইভা বোর্ডের রেজাল্ট। ২০২২ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের একটি স্থায়ী পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেন। সেই আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ নভেম্বর সেই পদের জন্য আবেদন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি অধ্যায়নরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেকশন বোর্ড ডাকা হলে শিক্ষা ছুটিতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সেই ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু এরপর দেড় বছর পার হলেও তাকে সেই নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলে জানান আকবর হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর বরাবর ইমেইলে প্রেরিত এক আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের পহেলা জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ আকবর হোসেন। ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের একটি স্থায়ী পদের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়ে ভাইবা দিলেও সেই পদে সম্পূর্ণ নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি ।

আবেদনপত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিলেকশন বোর্ড এবং সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্ত আমাকে হতবাকই শুধু করেনি, করেছে সংক্ষুব্ধ। বারবার মনে হয়েছে, আমেরিকার মতো উন্নত দেশের একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে এসে আমি কি কোনো পাপ করেছি না কি? যার জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। সিলেকশন বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও নর্মসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্র্যাকটিস হলো স্থায়ী পদ সৃষ্টি হলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগে যিনি অস্থায়ী (আপগ্রেডেড) পদে আছেন তাকে স্থায়ী করা। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে প্রশাসন যা করল তা শুধু যে অন্যায় তা নয়, এটি অভূতপূর্ব। সুস্পষ্টত আমাকে আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, যেহেতু আমাদের সেই সহকর্মী এখানকারই শিক্ষক, তাই তার কাছ থেকে বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি করার সুযোগ ছিল না। নিয়োগ পাওয়া সেই প্রার্থী নতুন হওয়ায় তার কাছ থেকে টাকা খেয়ে দুর্নীতি করার মাধ্যমে ওই অযোগ্য প্রার্থীকে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আশঙ্কা রয়েছে যে অদূর ভবিষ্যতে বাহিরে অধ্যয়নরত আমাদের সহকর্মীরা তাদের কর্মস্থলে হয়তো ফেরত আসতে চাইবেন না আর। তাই ওই প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে সহকর্মী আকবর হোসেনের ন্যায্য অধিকার যেন দ্রুত ফিরেয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলাম ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেন নাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মামলা নিয়ে বিচলিত নন পলক, আইনজীবীকে ট্রায়ালের প্রস্তুতির নির্দেশ

ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই পিপির নিয়োগ বাতিল

ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল

শোকজের জবাব দেবেন ফজলুর রহমান

হত্যাচেষ্টার নতুন মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহে জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা সরকারের

প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

ইসলামী সংগীত গাইলেন ইউটিউবার সাইদুল হাসান

টঙ্গীতে ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ 

ভারতে আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়

১০

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

১১

দেশ এখন স্থিতিশীল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

১২

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিলল টিসিবির বিপুল তেল

১৩

‘বাদল ভাই, আপনার মৃত্যুতে শোকাহত অনেক’

১৪

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় সাকিবের অবস্থান কত

১৫

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আবিদুলকে নিয়ে অপপ্রচার

১৬

বাচসাস পরিবারের সদস্য বাদল আহমেদ আর নেই

১৭

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

১৮

উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : সারজিস

১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

২০
X