চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটির সঙ্গে চবি সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১টায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংবাদিক সমিতির কাছে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতিবাচক ঘটনাগুলোর পাশাপাশি ইতিবাচক বিষয়ে লেখনীর মাধ্যমে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করার পরামর্শ দেন।
চবি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যেমন শিক্ষকদের অধিকারের বিষয়ে সবসময় সক্রিয় থাকি, তেমনি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারেও আমরা সচেতন। ইতোপূর্বে শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন কর্মসূচিতে আপনারা সেটা লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই।
তিনি আরও বলেন, যখনই কোনো অন্যায় অনিয়ম হয় শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে কথা বলে। আমরা প্রতিনিয়ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করি। চাকসু নেই, কিন্তু চাকসুর নামে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফি আদায় করা হচ্ছে দীর্ঘদিন, যদিও ফি'র পরিমাণটা খুব বেশি না, তারপরও টাকাগুলো কোন খাতে খরচ হচ্ছে- বিষয়টি আমাদের মিটিংয়ে উঠে এসেছে। এ ছাড়া রেজাল্ট অটোমেশন পদ্ধতির বিষয়েও আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। রেজাল্ট অটোমেশন সিস্টেম চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ে উপকৃত হবেন। সব ইতিবাচক কাজেই সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা আপনাদের কাছে সেই সহযোগিতাই প্রত্যাশা করি।
শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে আপনাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা দেখেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের নিউজের পর প্রথম সারির পত্রপত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখছেন বিশিষ্টজনরা। আপনারা যেমন অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন, সেই ধারাবাহিকতাই অব্যাহত থাকুক। এমনকি শিক্ষক সমিতিও যদি কোনো ভুল করে সেটাও আপনারা বস্তুনিষ্ঠতার সহিত তুলে ধরবেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, চবি সাংবাদিকদের ভূমিকা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও অজানা নেই। যার প্রমাণ আমরা ইতোপূর্বে পেয়েছি। আমরা চাই ভবিষ্যতেও সাংবাদিক সমিতি তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোমন্দ সবার সামনে তুলে ধরে সংশোধন বা অনুপ্রাণিত করার সুযোগ করে দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ উন নবী, অধ্যাপক ড. এএসএম বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. একেএম রেজাউর রহমান, মনজুরুল আলম ও ড. এসএম সাদাত আল সজীব, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানস প্রমুখ।