পরীক্ষা পেছানো বা সিলেবাস কমানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আটক ছয় শিক্ষার্থীর বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। পরীক্ষার্থীরা কেন রাস্তায়, তারা নিজেদের ইচ্ছায় রাস্তায় নেমেছিল নাকি নেপথ্যে কোনো উসকানি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এর আগে বেলা ১১টার পর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা চলা বিক্ষোভটি একাধিকবার শাহবাগ থেকে শিক্ষাভবনের দিকে যায় ও ফেরে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে বসে পড়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাতাও হয় তাদের। একপর্যায়ে সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন : শাহবাগে এইচএসসির ৬ শিক্ষার্থী আটক, পুলিশের ধাওয়া
আটককৃত শিক্ষার্থীদের কোনো অভিভাবক বিকেল পর্যন্ত থানায় যাননি বলে জানিয়েছেন ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অনেক কম সময় পাচ্ছি। এই সময়ে পুরো সিলেবাসের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সিলেবাস কমিয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হোক অথবা পরীক্ষা এক মাস বা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা আমরা মানি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাব।
আরও পড়ুন : এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তারা জানান, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রায় আড়াই বছর সময় পেয়েছে। আড়াই বছর সময় নিয়ে তাদের পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের। কিন্তু ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীরা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। তুলনামূলক এক বছর কম সময় পাওয়ার পরও তাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। গত বছর আইসিটি সাবজেক্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইসিটি সাবজেক্টও পরীক্ষা দিতে হবে। এবারের পরীক্ষায় আইসিটি বিষয়টি বাদ দেওয়ার দাবিও করেন তারা।
এবারের পরীক্ষা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছেন তারা। তবে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন