লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

তালিকাতেই নেই নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর নাম!

লালচাঁদপুর আজহারিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। ছবি : কালবেলা
লালচাঁদপুর আজহারিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ফরম ফিলাপের টাকা জমা দিতে গিয়ে মায়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী জানতে পারেন পরীক্ষার্থীর তালিকাতেই তার নাম নেই। উপজেলার লালচাঁদপুর আজহারিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মায়া আক্তার ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। কোনো উপায়ন্ত না দেখে ওই শিক্ষার্থী মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দ্বারস্থ হয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থী মায়া আক্তার উল্লেখ করেন, নবম শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। লালচাঁদপুর আজহারিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার এ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফরম ফিলাপের ফি জমা দিতে অফিসে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় পরীক্ষার্থীর তালিকায় তার নাম নেই।

শিক্ষার্থীর মা হাফেজা বেগম বলেন, ফরম ফিলাপের জন্য যোগাযোগ করলে মাদ্রাসা থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। আমার মেয়ে প্রথমে প্রথমে ২ হাজার টাকা নিয়ে গেলে প্রিন্সিপাল ৩ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলে। পরে ৩ হাজার টাকা নিয়ে গেলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জানান, পরীক্ষার্থীর তালিকায় মায়ার নাম নেই। তাকে আবার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে। তার সব ধরনের খরচ মাদ্রাসা থেকে দেওয়া হবে। এমন কথা শুনে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। আমার স্বামী দিনমজুর। টেইলারি কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। এখন কী করব, কার কাছে যাব, কোনো কূল পাচ্ছি না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভুলে আমার মেয়ের জীবন থেকে দুটি বছর হারিয়ে গেল। দুবছর তার বেতন-ফি নিয়েও পরীক্ষা দিতে না পারা সম্পূর্ণ অমানবিক। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর জীবনে এমন পরিস্থিতি না হয়।

এদিকে, পরীক্ষার্থীর তালিকা থেকে মায়া আক্তারের নাম বাদ পড়ার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একে ফজলুল হক। তিনি বলেন, এখন ওই শিক্ষার্থীকে আবার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে। আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা মাদ্রাসা থেকে তার সমস্ত শিক্ষা ব্যয় বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

ওই শিক্ষার্থীর নাম বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান অপু জানান, মোট ৩২ জনের ফরম ফিলাপ হয়েছে। শুধু এ মেয়েটি বাদ পড়েছে। সে সময়মতো নিবন্ধন জমা দেয়নি। এ ছাড়া একটানা ৩ মাস সে মাদ্রাসাতেই আসেনি। তবে মানবিক বিবেচনায় মেয়েটি যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, সেজন্য আমরা কাগজপত্র ঠিক করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানি চাকমা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১০

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১১

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১২

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৩

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৪

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৫

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৬

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৭

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

১৮

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

১৯

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

২০
X