কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরের পার্ক মোড় এখন ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’

আন্দোলনকারী আবু সাঈদের মৃত্যুতে পার্ক মোড় এখন ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’। ছবি : সংগৃহীত
আন্দোলনকারী আবু সাঈদের মৃত্যুতে পার্ক মোড় এখন ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার যে স্থানটিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হন, সেই স্থানটি গুগল ম্যাপে এখন ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের ম্যাপ সেবা প্ল্যাটফর্ম গুগল ম্যাপে ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ লিখে কোনো ঠিকানা বা স্থান খোঁজা হলে ওই এলাকাটি দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওই স্থানটির বিস্তারিত তথ্য গুগল ম্যাপে খোঁজা হলে আবু সাঈদের মৃত্যুর তথ্যও প্রদর্শন করছে প্ল্যাটফর্মটি।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণের সময় গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবু সাঈদকে কোটা আন্দোলনে শহীদ ঘোষণা করে স্থানীয় ছাত্র এবং আন্দোলনকারীরা আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ওই স্থানটিতে অবস্থান নেয়। তারা ওই চত্বরটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণা করে ব্যানারও টানিয়ে দেন। তবে তার আগেই মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে গুগল ম্যাপে স্থানটি ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ এর পরিচয় পায়।

গুগল ম্যাপ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের পর কোনো একজন ‘লোকাল গাইড’ স্থানটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব করেন। বিষয়টি পরবর্তীতে গ্রহণ করে গুগল ম্যাপ। লোকাল গাইড হলেন গুগল ম্যাপে জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ব্যক্তি যারা কোনো স্থান ও স্থান সম্পর্কিত তথ্য গুগল ম্যাপে যুক্ত করেন বা হালনাগাদ করেন। স্থানটিকে ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ মেনে নিয়ে ৬৫ জনের বেশি রিভিউ দিয়েছেন গুগল ম্যাপে। ম্যাপে স্থানটি ফাইভ-স্টার রেটিং পেয়েছে। স্থান সম্পর্কে গুগল ম্যাপে লেখা হয়েছে ‘ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক’।

গুগল ম্যাপে চত্বরটির তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে চলচিত্র সমালোচক ও জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাশেদুজ্জামান রাকিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখেন, রংপুরের পার্কের মোড় থেকে কুড়িগ্রামের বাসে উঠতাম। এখন সেটা ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’। ভাই ভালো থাকবেন। এবার বাড়ি ফেরার সময় ইনশাআল্লাহ সাঈদ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফিরবো। এই কয়েকদিনে পারিবারিক জীবনে অনেক খারাপ সময়ে ছিলাম। কাছের আত্মীয় মারা গেছে। কিন্তু দেশের এই অবস্থা, ছাত্রদের সাথে অবিচার, তাদের রক্ত দেখে নিজেকে বেশি অসহায় মনে হচ্ছিল। এই অসহায়ত্বের সমাপ্তি চাই, ছাত্র-ছাত্রীদের হাসিমুখে দেখতে চাই বিদ্যাপিঠে। খুব কঠিন কাজ তো না, না কি?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চতুর্থ বর্ষে কালবেলা, আলেমদের শুভেচ্ছা-দোয়া

বড় চমক রেখে সেরা ওয়ানডে একাদশ বাছাই করলেন ম্যাক্সওয়েল

দিনাজপুর বোর্ডে এইচএসসির ফলাফলে ধস

ইনজেকশন খুব ভয় লাগে: শ্রাবন্তী 

ফের কাছাকাছি অগস্ত্য-সুহানা

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ক্যাম্পাসের ৬ প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা, ঢুকতে পারছে না বহিরাগত

ভোট দিতে ২৫টি বাসে আসছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা

অত্যন্ত চমৎকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবেশ বিরাজ করছে : রাবি প্রক্টর

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, ভোট দিয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

১০

রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না ভারত, আশ্বস্ত ট্রাম্প

১১

ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী

১২

এইচএসসি ২০২৫: পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে কারা এগিয়ে

১৩

বাংলাদেশে কোপেলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মেক্সিকোতে এক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সম্ভাবনা 

১৪

শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি : নাহিদ

১৫

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৫ লাখের বেশি

১৬

অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়া নিয়ে যা বললেন রাবি ভিসি

১৭

কোন বোর্ডে কতজন জিপিএ-৫ পেলেন?

১৮

ভোটার তালিকা দেখতে পারছেন না এজেন্টরা, অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর

১৯

অনলাইনে এইচএসসির ফলাফল দ্রুত জানবেন যেভাবে

২০
X