কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ প্রশ্নে উদ্বেগ ইউট্যাবের

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষা গত ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ বা ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ উদ্ধৃতি উল্লেখ করে যে প্রশ্ন করা হয়েছে তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

সোমবার (১২ জুন) সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষায় উল্লিখিত শিরোনামে যে প্রশ্ন করা হয়েছে তা খুবই অবিবেচনা প্রসূত এবং অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা আশা করেন না। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিদ্যা চর্চার সর্বোচ্চ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এর মানে এই নয়, যা খুশি তাই করা যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশি জাতিসত্তার সঙ্গে বেমানান এমন কিছু জিনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ বা ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ শীর্ষক যে প্রশ্ন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয়েছে, তাতে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল চরিত্র প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের প্রশ্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার রুগণদশার প্রতীক মাত্র। আমরা দেখে আসছি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে সব সেক্টরে এমনভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে যে, সবকিছুতেই সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নতুন প্রজন্ম খুব ভালো কিছু শিখতে এবং জাতিকে দিতেও পারবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রশ্নপত্রের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসার পর এর পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নেটিজেনদের পক্ষ থেকে সমালোচনা হচ্ছে বেশি। ওই প্রশ্ন কাণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। হেজিমনি বোঝানোর জন্য সিনেমার ডায়ালগ বেছে নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা যুক্তিসঙ্গত নয়। শব্দগুলো সাধারণত নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়। অন্য উদাহরণের মাধ্যমেও বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত। এ ছাড়াও প্রশ্নপত্রে বাংলা ভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক, সেটিও বিবেচনার বিষয়। এমন অপ্রীতিকর ভাবধারার প্রশ্ন করা অসমীচীন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরিয়ার শ্রমবাজার এখন কেমন?

ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চাকরির সুযোগ

পশ্চিমা চাপকে ‘সরাসরি লড়াই’ বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

শিশুরা মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো মানুষের মাথার খুলি

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অপু গ্রেপ্তার

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত

ভ্রমণকালে ব্যাগে একটি টেনিস বল রাখলে কী হয়, জানলে অবাক হবেন

খালেদা জিয়া সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন : ডা. জাহিদ

২৮ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল হাদির নামে ‘চিরকুট’

১১

জামায়াতে ইসলামীকে ডাকসু নেতার অনুরোধ

১২

শাহবাগে উপস্থিত হয়ে যে আশ্বাস দিলেন ডিএমপি কমিশনার

১৩

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে যা বললেন আখতার

১৪

অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীনই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে : রিজওয়ানা হাসান

১৫

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন

১৬

ঐক্য পরিষদের গোলটেবিল সংলাপ / সংখ্যালঘুদের অধিকার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণার দাবি

১৭

বগুড়ার পাশাপাশি ঢাকাতেও প্রার্থী হবেন তারেক রহমান

১৮

সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিল ইনকিলাব মঞ্চ

১৯

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার শহিদুলের নিঃশর্ত মুক্তি চাইল বিএনপি

২০
X