ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সম্মেলন শেষে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করলেন তাবলিগ অনুসারীরা 

সমাবেশ শেষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় তাবলিগের কর্মীরা। ছবি : কালবেলা
সমাবেশ শেষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় তাবলিগের কর্মীরা। ছবি : কালবেলা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাবলিগ জামায়াতের মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারী ও কওমিপন্থি আলেম-উলামাদের ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনে আসা লোকজনের ভিড় জমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসের সবখানে। এসময় অবস্থানকালে তাদের অনেকেই যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেললেও স্থান পরিত্যাগ করার আগে তাবলীগের অনুসারীরা পরিষ্কার করেও গেছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা।

পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনাকারীরা জানান, সম্মেলনে বিশাল সংখ্যক জমায়েত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা সুষ্ঠু পরিচালনা করতে পারিনি। তবে সম্মেলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পরে থাকা পলিথিন, কাগজ, বোতলসহ বিভিন্ন আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

‘দ্য বিউটি অব ডিইউ ক্যাম্পাস’ নামক এক ফেসবুক পেইজ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে বলা হয়, ‘সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, টিএসসি, কলাভবন, কার্জনহল ও এর আসে পাশের এলাকা পরিষ্কার করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলিগের সাথীরা’।

মুরাদ হাসান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, তাবলিগ জামায়াতের মহাসমাবেশে যারা এসেছিলেন, তাদের অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ যারা ইউনিভার্সিটির পরিবেশের সাথে মোটেও পরিচিত নন। এমনকি ঢাবির ক্যাম্পাসও তাদের চেনার কথা নয়। আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ঢাবি প্রশাসন এবং আয়োজক কমিটি। ঢাবি প্রশাসন যদি উদ্যানের গেটগুলো বন্ধ করে দিতো, পার্কিংয়ে বাঁধা দিতো তাহলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অপরদিকে আয়োজক কমিটি যদি পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার পাশাপাশি টয়লেট, পানি, খাবারের স্থান কিংবা নামাজের পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতো, তাহলেও এই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার তৈরি হতো না।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলিগের সাথী ভাইয়েরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেছেন এবং প্রসাবের জায়গাগুলোও ধুঁয়ে পরিষ্কার করছেন। যারা সমালোচনা করেছেন, তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু টুপি পাঞ্জাবিতে যাদের চুলকানি, তাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে বলবো। এর আগেও অসংখ্যবার ঢাবিকে জঘন্যভাবে নোংরা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি তাদেরকে নিয়ে এত বেশি সমালোচনাও হয় নাই। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই রচিত হোক আগামীর পথ।

জামাল উদ্দীন খালিদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কাজ দিয়ে মন জয় করতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলীগের ভাইরা আশা করি আমাদের মন জয় করতে পেরেছে। ভুলের পর সমালোচনার প্রতিউত্তর এত সুন্দরভাবে দিতে তাবলিগের সাথীরাই। এটাই তাবলিগের ঐতিহ্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরম না ঠান্ডা পানি? শীতে গোসলের আগে যেগুলো মাথায় রাখবেন

অ্যাকাউন্টসে নিয়োগ দিচ্ছে ইজি ফ্যাশন

এপিবিএন সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বিলিং বিভাগ অফিসার নেবে আকিজ বশির গ্রুপ

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

৯ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

জাপানে সুনামির সব সতর্কতা প্রত্যাহার

ফ্ল্যাটে ঢুকে সাংবাদিককে পুলিশ কনস্টেবলের হাতুড়ি পেটা

জানা গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে লাথি মারা সেই ফুটবলারের পরিচয়

১০

হামজাকে দলে পেতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব

১১

খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা: টুকু

১২

ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ৪ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

১৩

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মারা গেছেন

১৪

মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় বক্তার মৃত্যু

১৫

বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

১৬

আগামী জাতীয় নির্বাচন / বৃহত্তর সুন্নী জোটের সাথে একীভূত হচ্ছে প্রগতিশীল ইসলামী জোট

১৭

সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, নিহত ১

১৮

রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন রেলের ১২ কর্মী

১৯

ঢাকা–১৯ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুহিউদ্দীন রাব্বানীর শোডাউন

২০
X