নিয়োগে নানা অনিয়ম, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আত্মীয় এমন আরও ২০ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক, বাকি ১৯ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
শনিবার (২১ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৯তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট সভা। উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ধানমন্ডির নগর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রোববার (২২ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি সংবিধিতে গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় একটি সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছিল। এই সংশোধনীতে ২৫ বছর চাকরি পূর্তিতে ঐচ্ছিক অবসর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কর্মচারী অবসর প্রদানের বিধানাবলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পলে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশেষ সিনেট অধিবেশনে এই প্রস্তাব অনুসমর্থিত হয়। এই বিধি অনুযায়ী, সিন্ডিকেট উল্লিখিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অবসর প্রদান করেছে।
অবসর প্রদান করা শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন- ড. আবু মো. ইকবাল রুমী শাহ্, অধ্যাপক (ইতিহাস); মো. হারুন অর রশিদ, উপ-রেজিস্ট্রার; সরকার মোহাম্মদ এরশাদ, উপ-রেজিস্ট্রার; মাহাবুবা খানম, উপ-রেজিস্ট্রার; নাদিরা বেগম, উপ-রেজিস্ট্রার; মো. মামুনুর রশিদ, উপ-রেজিস্ট্রার; সুব্রত সাহা, উপ-রেজিস্ট্রার; মনজু সরকার, উপ-রেজিস্ট্রার; মো. শাহাজামাল, উপ-রেজিস্ট্রার; মো. ওয়াজিয়ার রহমান এবং উপ-রেজিস্ট্রার মো. রাফিজ আলী খান।
এছাড়াও উপ-রেজিস্ট্রার; মো. আব্দুর রাকিব, উপ-পরিচালক; মো. সুলতান উদ্দিন, উপ-পরিচালক; মো. আসাদুজ্জামান খান, উপ-পরিচালক; সাকিল আহম্মেদ, উপ-পরিচালক; জাহানারা বেগম, সহকারী রেজিস্ট্রার; আফরোজ আহমেদ বর্ণা, সহকারী রেজিস্ট্রার; মাহফুজা খাতুন, সহকারী রেজিস্ট্রার; এ কে এম সেলিম রেজা, সহকারী পরিচালক এবং মানিক চক্রবর্তী, সেকশন অফিসার রয়েছেন।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এরই মধ্যে দুই দফায় ১৮ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ৯ জন কর্মকর্তাকে ২৫ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবসরে পাঠানো হয়। তারও আগে, গত বছরের ৩ নভেম্বর ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রয়োজন বিবেচনায় আরও ৯ জন কর্মকর্তাকে একইভাবে অবসরে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন