লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের পর কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে আসন্ন ম্যাচে নতুন করে কিছু ভাবার সুযোগ নেই বলে সাফ জানালেন সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। জাতীয় দলের সীমিত অপশন, মিডল অর্ডারের ভঙ্গুরতা এবং খেলোয়াড়দের ইনজুরি- সবকিছুরই খোলামেলা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে ছেলেরা ভালো মোমেন্টাম পেয়েছে, আত্মবিশ্বাসও এসেছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব। তবে এই মুহূর্তে নতুন কোনো পরিকল্পনা আনার সুযোগ নেই। মিডল অর্ডার যদি আরও ভালো ক্লিক করে, তবেই হয়তো আমরা ভালো খেলতে পারি। কিন্তু বাস্তবে আমাদের খুব বেশি অপশন নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বেঞ্চে মিডল অর্ডারের ব্যাটারও নেই। একমাত্র নাঈম ছিল। জাকির ইনজুরড ছিল। এই কারণে আমাদের যে স্ট্রেন্থ আছে, সেটিতেই আমরা খেলতে বাধ্য।’
সালাহউদ্দিনের মতে, ক্রিকেটে প্রতিটি দলেরই আলাদা পরিকল্পনা থাকে। তবে বাংলাদেশ দলের বাস্তবতা ভিন্ন। ‘যখন আমরা জাকের আর শামীমকে ফিনিশারের ভূমিকা দেই, তখন তাদের ‘বিল্ড’ করার দায়িত্ব দেই না। চাই তারা ফ্রি খেলুক। শামীম প্রমাণ করেছে যে, বেশি ওভার পেলে সে ভালো করতে পারে। এটা আমাদের জন্য বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা।’
দল গঠনে সীমাবদ্ধতার কথাও জানান তিনি, ‘যে ১৫ সেরা খেলোয়াড় থাকে, তাদের মধ্য থেকেই সেরা আউটপুট বের করতে হয়। শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর ব্যাটিং অর্ডার খুব বেশি বদলায় না। আমাদের ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন করতে হয়। এক সিরিজে পাঁচজন যায়, আবার পাঁচজন আসে। সে সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও থাকে। ফলে বিলাসিতা করার কোনো সুযোগ নেই।’
পেসারদের ফিটনেস ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘টানা শিডিউলের কারণে প্রতিদিন ম্যাচ খেলানো কঠিন। যেমন তাসকিনকে টানা খেলালে আবার বড় ইনজুরি হতে পারে। তখন এক ম্যাচের জন্য তাকে এক বছর বসে থাকতে হতে পারে। সুতরাং ভারসাম্য রক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দল গঠনে সবদিকেই ভারসাম্য রাখতে হয়। কখনো বাইরে থেকে বুঝতে কঠিন হলেও, খেলোয়াড়দের ফিটনেস, মানসিক চাপ, স্কোয়াডের গভীরতা- সবই বিবেচনায় রাখতে হয়।’
সালাহউদ্দিনের কথায় স্পষ্ট, বাংলাদেশ দলে আজকাল কোনো ‘লাক্সারি’ অপশন নেই। নেই কোনো ফেভারিটিজমের সুযোগও। বাস্তবতা মেনে নিয়ে সেরা সমন্বয়টাই তাদের মূল লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন