ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে চলমান আলোচনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তার মতে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির স্বার্থেই ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসুসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে সারজিস লিখেছেন, “বাংলাদেশের স্বার্থে ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু হতেই হবে। যারা শিক্ষার্থীদের সংসদকে ভয় পায়, তারা জনগণের সংসদকেও ভয় পায়। তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।”
এরআগে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের একটি রায়কে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা দেন। ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের প্রতিক্রিয়াতেই সারজিস এই পোস্ট করেন।
তবে একইদিন বিকেলে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেন। ফলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যায়।
ডাকসু নির্বাচনের তপশিল অনুযায়ী, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। আর সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মন্তব্য করুন