উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও ফৌজদারি মামলার আসামি এ এইচ এম সায়েদুজ্জামানের বিরুদ্ধে হুমকি, তদবির, ভুয়া সাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদে বুধবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সায়েদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা রেজিস্টারে নিজের উপস্থিতি দেখান। ক্লাস চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও উপস্থিতি দেখিয়ে নম্বর প্রদান করাও তার নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া সায়েদুজ্জামান সহকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন এবং বৃহস্পতিবার ছুটি যাওয়ার সময় আগাম রোববারের স্বাক্ষর দিয়ে অনুপস্থিতির তথ্য গোপন করেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, এই শিক্ষক ‘শিক্ষাবার্তা’ নামের একটি কথিত ফেসবুক পত্রিকা ব্যবহার করে সহকর্মী ও শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালান। এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষা অধিদপ্তর, বোর্ড ও এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন।
২০১৪ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একটি তদন্তে সায়েদুজ্জামানসহ ৪৩ জনের নিয়োগ অবৈধ। স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে তিনি ওই চাকরি পান বলে অভিযোগ করেন তারা।
মানববন্ধনে এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ক্ষমতাসীন দলের আমলে সায়েদুজ্জামান নিজেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক নেতা দাবি করে মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিলেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তিনি রাজনৈতিক অবস্থান বদলে নিজেকে বিএনপিপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করে আগের মতোই তদবির ও চাঁদাবাজির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে ভুয়া রিপোর্ট প্রকাশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এ এইচ এম সায়েদুজ্জামানের গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুতি দাবি করেন তারা।
মন্তব্য করুন