প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে এরপর গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশের একটি বিশেষ দল।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধার্থের বাড়ি গুয়াহাটির দাতালপাড়ায়। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সেখানে তল্লাশি চালায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ।
২০১৪ সাল থেকে জুবিনের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন সিদ্ধার্থ। দাবি করা হচ্ছে, এই ১১ বছরে আসামে একাধিক সম্পত্তি করে ফেলেন সিদ্ধার্থ। এমনকী ২০২৩ সাল থেকে জুবিন গর্গ মিউজিক এলএলপির মালিকানা তার কাছে চলে যায়।
এর ফলস্বরূপ সিদ্ধার্থের বাড়িতে গতকাল এসআইটি সদস্যরা হানা দিয়েছিলেন। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন, সিদ্ধার্থকে বুঝি এসআইটি গ্রেপ্তার করেছে। তবে পরে বোঝা যায়, এসআইটি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি সেখান থেকে। এরপরই উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা করে। এর জেরে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এদিকে জুবিন গর্গের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল দু'বার। তবে তাতেও কাটছে না ধোঁয়াশা। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট যদি সন্তোষজনক না হয় তবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরো তদন্তের সুপারিশ করা হবে।
এ ছাড়া ইতিমধ্যেই নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তার শ্যামকানু মোহন্তের বাড়িতেও হানা দিয়েছে আসাম পুলিশের দল। ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার কথা ছিল জুবিনের। কিন্তু ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখেই স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারা যান তিনি। ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও জুবিনের ভক্তদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন