দেখতে খুব একটা খারাপ ছিলেন না। জনপ্রিয়তাও ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু নিজের অবয়ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। এ অসন্তুষ্টিই কাল হলো তার। নিজেকে আরও ‘সুন্দর’ করার চেষ্টার ফলশ্রুতিতে পৃথিবী ছেড়েছেন ব্রাজিলিয়ান পপ গায়িকা ড্যানিয়েল ফনসেকা মাচাদোর। তিনি ডানি লি নামে বেশি পরিচিত। তার মৃত্যুতে দেশটির শোবিজ অঙ্গণে আলোচনা-সমালোচনা-শোক চলছে। এ ধরনের মৃত্যুতে হতবাক যেন সবাই।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি ডানি লির অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তিনি যে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তা ‘লাইপোসাকশন সার্জারি’ বলে জানা গেছে। গায়িকা তার পেট ও পিঠের মেদ কমানোর পাশাপাশি স্তন ছোট করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত ব্রাজিলে অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তিনি জটিলতার সম্মুখীন হন। দ্রুত অবস্থার অবনতি হতে থাকে।অবশেষে ২৪ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে ডানি লির বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। গায়িকার ৭ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে ডানির স্বামী মার্সেলো মিরার বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, আমরা গোটা পরিবার এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছি। এটি মেনে নিতে পারছি না। শোকের মধ্যেও তাকে শেষ বিদায় জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে লাইপোসাকশনই মৃত্যুর কারণ কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অ্যামাজনের দ্বীপ আফুয়ার বাসিন্দা গায়িকা ডান লি। ‘ইউ সু দা আমাজোনিয়া’ গানটির জন্য সর্বাধিক পরিচিত তিনি। ব্রাজিলের জনপ্রিয় এ গায়িকার সবশেষ গান ‘গুয়েরা দে আমর’। এটিও দেশটিতে জনপ্রিয় হয়।
এদিকে পপ গায়িকাকে অনুরাগীরা যাতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, সেজন্য তাকে সমাধিস্থ করার আগে বিশেষ একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নিজের দেহ পরিবর্তন করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক তার অনুরাগীরা।
মন্তব্য করুন