

শীতের কথা শুনলেই অনেকের মনে প্রথমেই আসে ঠান্ডা বাতাস, কাঁপুনি, আর একটু গা এলেই কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে থাকার ইচ্ছা। এমন সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল করার কথা ভাবলেও শরীর শিউরে ওঠে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বিশ্বের অনেক মানুষ নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন এবং তারা বিশ্বাস করেন এতে শরীর আরও শক্তিশালী হয় ও মানসিক সতেজতা বাড়ে।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ঘুমেও লুকিয়ে আছে বিপদ
আরও পড়ুন : সফল ব্যক্তিরা সকালের নাশতার আগেই যেসব কাজ করেন
সাম্প্রতিক সময়ে ‘কোল্ড শাওয়ার’ নামের এই অভ্যাসটি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকারের কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে শীতের তীব্র ঠান্ডায় সবাই কি ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারবেন? আর এটা কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর, নাকি কিছু ক্ষেত্রে উল্টো সমস্যা তৈরি করতে পারে?
শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসলের সুবিধা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি - দুটোই জানা খুব প্রয়োজন। তাই এই আর্টিকেলে আমরা সহজভাবে বুঝে নেব শীতের দিনে ঠান্ডা পানির গোসল আমাদের জন্য কতটা উপকারী, আর কখন তা এড়িয়ে চলা উচিত।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় : ঠান্ডা পানি শরীরকে সক্রিয় করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
ইমিউনিটি শক্তিশালী করে : নিয়মিত ঠান্ডা পানি সহ্য করার অভ্যাস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো : ঠান্ডা পানি ত্বকের পোরস বন্ধ রাখে এবং চুলকে মজবুত করে।
মানসিক সতেজতা আনে : ঠান্ডা পানির ঝাঁকুনি মনকে সতেজ করে এবং এনার্জি বাড়ায়।
দুর্বল বা অসুস্থ মানুষের সমস্যা হতে পারে : সর্দি, জ্বর, অ্যাজমা, বা শ্বাসকষ্ট আছে এমন ব্যক্তিরা ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলাই ভালো।
হঠাৎ শীত লাগার সম্ভাবনা : ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠান্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে।
হৃদরোগীর জন্য ঝুঁকি : হঠাৎ ঠান্ডা পানির কারণে শরীরের ওপর চাপ পড়তে পারে, যা হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন : এসব অভ্যাস অফিসে আপনাকে আরও স্মার্ট করে তুলবে
আরও পড়ুন : ৩৫ বছরেই যে কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক
ঠান্ডা পানির গোসল অনেক উপকার করলেও শীতকালে তা সবার জন্য উপযুক্ত নয়। যাদের শরীর ভালো, সহনশক্তি বেশি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নেই - তারা ইচ্ছা করলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন। তবে অসুস্থ বা দুর্বল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
সূত্র : এডিটিভি
মন্তব্য করুন