কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অতিরিক্ত ঘুমেও লুকিয়ে আছে বিপদ

অতিরিক্ত ঘুমেও লুকিয়ে আছে বিপদ

ভালো ঘুম শরীর ও মনের জন্য কতটা দরকারি, তা আমরা সবাই জানি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মন খারাপ, এমনকি ত্বকেও ক্লান্তভাব চলে আসে। কিন্তু জানেন কী, ঘুম বেশি হলেও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম ঘুম যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর হতে পারে।

কেন বেশি ঘুমানো হয়?

প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমই স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ যদি প্রতিদিন ৯-১০ ঘণ্টা বা তারও বেশি ঘুমান, সেটিকে অতিরিক্ত ঘুম বলা হয়। এর পেছনে থাকতে পারে নানা কারণ-

- থাইরয়েডের সমস্যা

- হৃদরোগ বা স্লিপ অ্যাপনিয়া

- ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ

- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

- দীর্ঘদিনের ক্লান্তি বা অনিয়মিত জীবনযাপন

কখনো কখনো শরীর ঠিক থাকলেও জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা না থাকলে বা রাতে দেরি করে ঘুমালে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

বেশি ঘুমে যেসব সমস্যা হয়

অতিরিক্ত ঘুম শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতা:

- ওজন বেড়ে যাওয়া

- ঘন ঘন মাথাব্যথা

- পিঠে বা ঘাড়ে ব্যথা

- ডিপ্রেশন বা মন খারাপ লাগা

- ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি

অর্থাৎ, বেশি ঘুম মানেই বেশি বিশ্রাম- এই ধারণা একেবারেই ভুল।

কীভাবে কমাবেন অতিরিক্ত ঘুম

যদি চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো কারণ না থাকে, তাহলে কিছু অভ্যাস বদলালেই ঘুমের ভারসাম্য ফিরে আসতে পারে—

নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন : প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এমনকি সপ্তাহান্তেও এই অভ্যাস বজায় রাখুন। এতে শরীর নিজের ছন্দে ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন : ঘর অন্ধকার, শান্ত ও ঠান্ডা রাখুন। বিছানা ও বালিশ যেন আরামদায়ক হয়। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভি ব্যবহার না করাই ভালো।

দিনে ঘুমানো কমিয়ে দিন : দুপুরে খাবার পর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করুন। তার বদলে হালকা হাঁটা, বই পড়া বা অন্যকোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

স্লিপ ডায়েরি রাখুন : প্রতিদিন কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন, কত ঘণ্টা ঘুমাচ্ছেন, ঘুম ভেঙে গেলে কী করেন— এসব নোট করে রাখুন। প্রয়োজনে সেই তথ্য নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত ঘুম কখনো শরীরের অলসতার ফল, কখনো আবার কোনো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা, শরীরচর্চা করা এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা— এই ৩টিই সুস্থ ঘুমের মূল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, ‘যতটা দরকার ততটাই ঘুম’— সেটাই আসল ভারসাম্য।

সূত্র : ফেমিনা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপ বিতর্কে বড় শাস্তি পেলেন পাকিস্তানি পেসার

‘তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল রায়ের অভিশাপ ভোগ করছে পুরো জাতি’

আশাশুনিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগার দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

কেশবপুর আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চান শ্রাবণ

চূড়ান্ত হলো বিপিএলের পাঁচ দল

প্রাথমিকের সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সরকারের নতুন বার্তা

গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট করতে চান এনসিপির সোহাগ

রাতে মাঠে নামছে লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ, খেলা দেখবেন যেভাবে

মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

১০

প্রার্থিতা হারিয়ে বিএনপি নেতার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

১১

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ যত টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী

১২

জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৩

চমক রেখে আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

১৪

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১৫

উচ্ছেদে গিয়ে হকারদের ঘেরাওয়ের মুখে মেয়র শাহাদাত

১৬

নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব কে দেবেন, জিতলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী

১৭

মালবাহীর সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ

১৮

নিজের মতো করে রাজনীতি চালিয়ে যাব : রুমিন ফারহানা

১৯

এনসিপি কত আসনে প্রার্থী দেবে, জানালেন নাহিদ

২০
X