আধুনিক জীবনে রান্নাঘর শুধু রান্নার জায়গা না বরং এটা আমাদের ঘরের সবচেয়ে কার্যকর ও গুছানো একটা অংশ। আজকাল ঘরে ঘরে দেশি খাবারের পাশাপাশি বিদেশি নানা রেসিপিও রান্না হচ্ছে। তাই তো রান্নাঘরে চাই গোছানো একটা কেবিনেট—যেখানে প্রয়োজনের সব কিছু থাকবে হাতে নাগালে, আবার দেখতেও হবে সুন্দর।
আরও পড়ুন : ঘরের মুড বদলাতে পর্দা বদলান
আরও পড়ুন : খাবার ঘর ছোট? সমস্যা নেই, সাজান বুঝেশুনে
কেমন কেবিনেট বানাবেন, কোন উপকরণ ব্যবহার করবেন, আর কীভাবে যত্ন নেবেন— এসব নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন হাতিল-এর পরিচালক সফিকুর রহমান। চলুন, সবকিছু ধাপে ধাপে জেনে নিই।
কেবিনেটের ডিজাইন নির্ভর করে আপনার রান্নাঘরের আকার, জায়গা আর আপনার চাহিদার ওপর। ছোট হোক বা বড়, প্রতিটা কেবিনেটেই থাকতে পারে আলাদা আলাদা সুবিধা।
- শুধু পাল্লা নয়, চাইলে ড্রয়ারও রাখতে পারেন
- কাঠ দিয়ে কেবিনেট বানালে দেখতে সুন্দর হয়, তবে খরচ বেশি
- তুলনামূলক সাশ্রয়ী বিকল্প: প্লাই বোর্ড বা পার্টিকেল বোর্ড
- রান্নাঘরে পানি ও আর্দ্রতা বেশি থাকে, তাই পানিরোধী বোর্ড বেছে নেওয়া সবচেয়ে ভালো
বাজারে এখন এমন অনেক বোর্ড পাওয়া যায় যেগুলো দেখতে চমৎকার, আবার দামে সাশ্রয়ী
রান্নার উপকরণ তো শুধু মসলা না—বেকিং আইটেম, কুকিং গ্যাজেট, তৈজসপত্রসহ সবকিছুই গুছিয়ে রাখতে হয়। তাই কেবিনেটগুলো এমনভাবে বানান যেন আপনি আলাদা আলাদা জিনিস সাজিয়ে রাখতে পারেন:
- একটা কেবিনেটে রাখুন বেকিংয়ের জিনিস
- আরেকটায় শুধুই মসলা বা বিদেশি উপকরণ
- নিচের কেবিনেটে রাখুন নিয়মিত ব্যবহৃত জিনিস
- ওপরের কেবিনেটে রাখতে পারেন কম ব্যবহৃত জিনিস
ছোট করে লেবেল লাগিয়ে রাখুন—কোন কেবিনেটে কী আছে, যেন সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এতে অন্য কেউ রান্না করলেও ঝামেলা হবে না!
শুধু গুছিয়ে রাখলেই চলবে না, কেবিনেটের যত্নও নিতে হবে। কারণ রান্নাঘরের পরিবেশ সব সময়ই একটু আর্দ্র থাকে। যা করবেন:
- রান্নার পর ভেজা কেবিনেট বা তাক শুকনা কাপড়ে মুছে ফেলুন
- সম্ভব হলে কিচেন হুড ব্যবহার করুন—এটা ধোঁয়া আর তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে দারুণ কাজ করে
- কিচেন হুড না থাকলে কেবিনেটের আয়ু কমে যেতে পারে
রান্নাঘরের কোণ বা দেয়ালের ওপরের অংশের জায়গা অনেকে ব্যবহার করেন না। অথচ একটু পরিকল্পনা করলেই:
- কোণে ছোট তাক বসাতে পারেন
- ওয়ালের ওপর লাগাতে পারেন ডিজাইন অনুযায়ী শেলফ
এভাবে অপ্রয়োজনীয় জায়গাগুলোও কাজে লাগবে
আরও পড়ুন : ভিটামিন সির অভাবে শরীরে দেখা দেবে যে তিন সমস্যা
আরও পড়ুন : ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর ৬ নারী অপরাধী
মনে রাখবেন, রান্নাঘরে কেবিনেট মানে শুধু সৌন্দর্য না, কাজেও লাগতে হবে। আপনার রান্নাঘরের সাইজ বুঝে কেবিনেটের ডিজাইন ঠিক করুন। প্ল্যান করে আলাদা আলাদা জিনিস আলাদা কেবিনেটে রাখুন। পানিরোধী ও সহজে পরিষ্কার করা যায়—এমন উপকরণ বেছে নিন।
পাশাপাশি কিচেন হুড ব্যবহার করুন ও সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যাস করুন। একটা গুছানো রান্নাঘর মানেই—আপনার সময় বাঁচবে, রান্না আরও আনন্দের হবে, আর ঘরের পরিবেশও থাকবে সুন্দর।
মন্তব্য করুন