

আজকের ব্যস্ত জীবনে মানুষ দিনভর ঘরবন্দি। অফিস, বাসা কিংবা গাড়ি— সর্বত্রই এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ। ফলে মানবদেহে সূর্যালোকের উপস্থিতি কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। অথচ গাছ যেমন সূর্যের আলো ছাড়া নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না, তেমনি মানুষের শরীরও রোদের ছোঁয়া ছাড়া ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূর্যের আলো হলো ভিটামিন ‘ডি’-এর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস। এই ভিটামিন হাড়কে মজবুত রাখে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যও রোদ অপরিহার্য।
বিজ্ঞানীরা জানান, শরীরে ‘সেরোটোনিন’ নামের হরমোনের ক্ষরণে রোদের ভূমিকা রয়েছে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পেলে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যা মন খারাপ, মানসিক চাপ ও অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। অনিদ্রার সমস্যার সঙ্গেও এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
সূর্যের আলো চোখের রেটিনার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়, যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। শীতকালে যেহেতু দিন ছোট ও রোদের তেজ কম থাকে, তাই এই হরমোনের উৎপাদনও কমে যায়। এজন্য অনেকেরই শীতকালে মন খারাপ বা অবসাদের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকরা জানান, মারাত্মক অবসাদ দূর করতে ‘লাইট থেরাপি’ বা ‘ফোটোথেরাপি’ বেশ কার্যকর।
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট রোদে থাকলে যা হবে—
১️. সকালে রোদ গায়ে লাগলে শরীর নিজের স্বাভাবিক ঘড়ি অনুযায়ী কাজ শুরু করে, যা সার্কাডিয়ান ছন্দ নামে পরিচিত।
২️. এই ছন্দ ব্যাহত হলে শরীরে ক্লান্তি, মন খারাপ ও বিপাকীয় সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
৩️. নিয়মিত সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন ডি বাড়ায়। পাশাপাশি মন ভালো রাখার সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন