

আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না, শরীর নীরবে আমাদের সাথে কথা বলছে। বড় সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আমাদের সতর্ক করে। খাওয়া-দাওয়া ঠিক না হলে বা কোনো পুষ্টি কমে গেলে শরীর খুব সূক্ষ্ম উপসর্গ দেখায়, যা আমরা বেশিরভাগ সময় অবহেলা করি।
আরও পড়ুন : বাঁধাকপি-ফুলকপি কি থাইরয়েডের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর
আরও পড়ুন : ঘুমের মধ্যেও হতে পারে হার্ট ফেইলিওর
তাই সমস্যা বাড়ার আগে কোন কোন লক্ষণে সতর্ক হওয়া উচিত, তা সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফাইবারের ঘাটতি : বেশিরভাগ মানুষ ভাবে ফাইবার কম হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। কিন্তু ডায়েটারি ফাইবার কমে যাওয়ার শুরুটা বোঝা যায় অন্যভাবে - খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধা লাগতে শুরু করে। পেট ভরে থাকা সত্ত্বেও এমনটা হলে বুঝতে হবে শরীর ফাইবার চাইছে।
প্রোটিনের ঘাটতি : প্রোটিন কম পেলে শরীর ও মন দুটোরই শক্তি কমে যায়। সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, কাজে মন না বসা বা ‘ব্রেন ফগ’-এর মতো অনুভূতি, এসবই দেখায় যে শরীরে যথেষ্ট প্রোটিন পৌঁছাচ্ছে না।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি : হাড় ভেঙে যাওয়া বা ব্যথা ক্যালসিয়াম কমে যাওয়ার পরের পর্যায়। প্রথম দিকে শরীর আঙুলে ঝিনঝিন বা হালকা অবশভাবের মতো সংকেত পাঠায়, যা আমরা সাধারণত গুরুত্ব দিই না।
জিঙ্কের ঘাটতি : অনেকেই ভাবেন জিঙ্ক কমে গেলে ক্ষুধা কমে যায়। আসলে তারও আগে সতর্কতা আসে স্বাদ ও গন্ধ অনুভব করার ক্ষমতা কমে যাওয়া দিয়ে। এছাড়া ছোটখাটো ক্ষত শুকাতে বেশি সময় লাগলেও জিঙ্কের অভাব থাকতে পারে।
আয়রনের ঘাটতি : চুল পড়া বা চোখের নিচে কালি পড়া তখনই দেখা দেয়, যখন আয়রনের ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে। প্রথম দিকে যা দেখা যায় তা হলো ঘুমিয়ে উঠেও ক্লান্ত লাগা— এক ধরনের গভীর অবসাদ, যেটা সহজে কাটে না।
আরও পড়ুন : রোজ লবঙ্গ খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন
আরও পড়ুন : এক মাস টানা হলুদ খেলে শরীরে আসবে যেসব পরিবর্তন
এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো আমরা অনেকেই গুরুত্ব দিই না। কিন্তু শরীর সবসময়ই ইঙ্গিত দেয়। তাই অস্বাভাবিক ক্লান্তি, ক্ষুধা বদলানো, অনুভূতির পরিবর্তন— এসব লক্ষণ দেখলে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তবে এগুলো কোনো চূড়ান্ত রোগ নির্ণয় নয়। প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মন্তব্য করুন