আন্দোলন-সংগ্রাম করুক আপত্তি নেই কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ যারা আন্দোলন করতে চায় করুক। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনই মেনে নেওয়া যাবে না। আন্দোলন-সংগ্রাম যাই করুক তাতে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনো কেটে যায়নি। সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সেটাই আমি বলতে পারি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির অপকর্মের কারণে জরুরি অবস্থা এসেছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন আমাদের রিজার্ভ ১ বিলিয়নও ছিল না। বোধ হয় শূন্য দশমিক ৭৪-এ রকম ছিল। আমাদের আর্থিক সংগতি তেমন ছিল না। তার ওপর চরম বিশৃঙ্খলা ছিল। বিএনপির ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বোমা, গ্রেনেড হামলা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং—এসব অপকর্ম, যার ফলে দেশে ইমার্জেন্সি হয়। ২০০৭-০৮ ইমার্জেন্সি। এই অবস্থার মধ্যে দেশের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে এবং একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়। সেই সবগুলো গুছিয়ে আনতে সময় লেগেছে। আজকে আমাদের অর্থনীতি; যদিও মুদ্রাস্ফীতির চাপ আছে, তারপরও কিন্তু গতিশীল রাখতে পেরেছি।
দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের যখন উন্নতি হবে, সেই উন্নতিটা হবে তৃণমূল থেকে। আমি কয়েকদিন আগে গ্রামে গেলাম। এখানে জিনিসের দাম নিয়ে যত হাহাকার গ্রামে কিন্তু সেটা নেই। সেখানকার মানুষ কিন্তু ভালোই আছে। তারা নিজেরা উৎপাদন করছে এবং তারা চলতে পারছে ভালোভাবেই।
মন্তব্য করুন