ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি পর্যবেক্ষণ এবং জনসম্পৃক্ততা প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাহ্ মনির হোসেন। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর নিপসম অডিটোরিয়ামে পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ : উত্তরণের উপায় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহ্ মনির বলেন, সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু দূর করা সম্ভব না। এজন্য সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং জনসম্পৃক্ত সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে, তা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে পারি।
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কিটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড, মো. গোলাম সারোয়ার।
তারা বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে একটি সংকটাপন্ন সময় পার করছি। বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার গত বছর থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্যই আমাদের পৃথিবীর জ্বর হয়েছে এবং সেই জ্বরে বাংলাদেশও আক্রান্ত। ২০১৯ সালের থেকেও ২০২৩ সালে ভয়াবহ ভাবে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করেছে। সারা দেশে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। যা রিপোর্টে আসছে না। এজন্য সমন্বিতভাবে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও আপামর জনগণকে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে এগিয়ে আসতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। জনস্বাস্থ্যের নীতিমালা অনুযায়ী মোকাবিলা করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের সম্ভবপর হলে আলাদাভাবে চিকিৎসা করতে হবে।
অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্ষা দেরিতে আসায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আমাদের বুঝতে সময় লাগছে। আমাদের সারা দেশে জরিপের মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পরেছে। আমাদের আশপাশের দেশগুলো যেভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে সেই ধারণা নিয়েও কাজ করতে হবে এবং সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ডেঙ্গু সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ডা. এস এম শহিদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম এবং সাংবাদিক শিশির মোড়ল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন