কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫, ১০:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সংস্কারের বিপরীতে চলছে সরকার : টিআইবি

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত সরকার ঘোষিত দুর্নীতি দমন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের লক্ষ্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় টিআইবি।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, রাষ্ট্র সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। করহার যাই হোক না কেন, এটি সংবিধানের ২০ (২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত, যা সৎ উপার্জনকারীদের আবাসন খাতে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, সরকারের এ সিদ্ধান্ত আসলে দুর্নীতিকে উৎসাহ দিচ্ছে। এতে বছরজুড়ে অপ্রদর্শিত আয় সঞ্চয় করে বছরের শেষে তা বৈধ করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আর যে খাতকে কেন্দ্র করে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ আবাসন খাত, সেটি দেশের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল কালো টাকা বৈধতার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করা, যার প্রতি সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য রয়েছে। অথচ সরকার এই বাজেটে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে, যা স্ববিরোধী এবং সরকারকেই বিব্রত করছে।

টিআইবি কালো টাকা বৈধ করার এ সুযোগ অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া কালো টাকার উৎস অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা, করব্যবস্থায় সমতা ও ন্যায়ের নিশ্চয়তার দাবি জানানো হয়েছে। টিআইবি মনে করে, সরকার যদি সত্যিই দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান নিতে চায়, তবে কালো টাকা সাদা করার যাবতীয় পথ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, জনগণ সরকার ঘোষিত সুশাসনের প্রতিশ্রুতি ও দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগকে লোক দেখানো মনে করবে।

টিআইবি জানিয়েছে, বাজেট বক্তৃতায় দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না থাকাটাও হতাশাজনক। অর্থ উপদেষ্টা মাত্র একটি বাক্যে সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দায় শেষ করেছেন।

টিআইবি আরও উল্লেখ করে, বিদেশে অর্থপাচার করে নাগরিকত্ব ত্যাগকারীদের ওপর কর ও জরিমানার যে বিধান রাখা হয়েছে, তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়েও বাজেটে কোনো স্পষ্টতা নেই। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়েও কার্যকর কৌশল বা দিকনির্দেশনার ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, চালকের সাহসিকতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন বিগত এমপি : কাদের গণি

নতুন উপজেলায় সংযোজনের প্রস্তাব, ফটিকছড়িতে সড়ক অবরোধ

‘বিএনপির প্রকৃত কর্মী আরেক কর্মীকে হুমকি দিতে পারে না’

সাংবাদিকের ওপর হামলা, একজনকে শাস্তি দিল বিএনপি

২০ রেকর্ড গড়েও অন্ধকারে সাঁতারুরা

কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান

শপথ নিলেন চাকসুর নির্বাচিতরা, ছিলেন না আকাশ দাস

বদলে গেল ‘বাগছাস’র নাম

ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

১০

ভক্তদের সুখবর দিলেন মেসি

১১

চিতাবাঘ ভেবে বেঁধে রাখা হলো মেছোবাঘ

১২

৫০০ বছরের শত্রুতা ছেড়ে একসঙ্গে প্রার্থনায় রাজা চার্লস ও পোপ লিও

১৩

ভারতের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক চান জামায়াত আমির

১৪

হোয়াটসঅ্যাপে নাটোরের জেলারকে সাবেক এমপি শিমুলের হুমকির অভিযোগ

১৫

আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

১৬

‘যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল’

১৭

পার্টিকেল বোর্ডের ব্যবসায় আরএফএল

১৮

মাটিরাঙ্গা সীমান্তে ৯ মাসে ১৯ কোটি টাকার মালামাল জব্দ

১৯

সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে লড়বেন না আইনজীবী সারোয়ার, জানালেন কারণ

২০
X