কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাহাজভাঙা শিল্প উপকূলের জন্য মারাত্মক : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : সংগৃহীত
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : সংগৃহীত

জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) জাপানের টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন ভবনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণে নবম অবস্থানে রয়েছে। এর বড় অংশই আসে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় চলমান বৈশ্বিক চুক্তিতে ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন জাহাজভাঙা শিল্প বাংলাদেশের উপকূলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে হংকং কনভেনশনকে তিনি ‘অপর্যাপ্ত’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, সাগর ও মহাসাগর রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ও বহুমুখী সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের একমাত্র উপায়।

উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের অর্থনীতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ছাড়া সরকার ইতোমধ্যে ‘অ্যাসেসমেন্ট অব কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন বায়োডাইভার্সিটি রিসোর্সেস অ্যান্ড ইকোসিস্টেম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মাধ্যমে জাতীয় ডাটাবেজ, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ প্রটোকল তৈরি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণাও সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের অনন্য সম্পদ তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সামুদ্রিক মাছের সম্পদ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি। আন্তর্জাতিক অংশীদাররা চাইলে বাংলাদেশে টেকসই সিফুড প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সতর্ক করে বলেন, যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। একই বিপদে রয়েছে বিশ্বের ৫২টি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বৈশ্বিক সংহতি এখন সময়ের দাবি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমিরাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রবাসীদের নিয়ে গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

লিটন দাসের ব্যাটে নতুন ইতিহাস

চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না : চরমোনাই পীর

সাবেক অধিনায়কের কোটায় বিসিবির নির্বাচন করবেন তিনি

নির্বাচনের আগে পুলিশে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪০০০ এএসআই : আইজিপি

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে উজবেকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর

দ্রুত সংস্কার না হলে কেডিএ ঘেরাওয়ের ঘোষণা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি 

খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া আফগানরা, রয়েছে আতঙ্ক 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে উত্তেজনা বিএনপির, সুন্দরগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

১০

আসছে ‘মহানায়কের গান’ সিজন ২

১১

জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিতে আবেদন

১২

চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশ নেওয়া হবে কি না, জানালেন ঢামেক পরিচালক

১৩

চীনের কুচকাওয়াজে যোগ না দিয়েই কেন ফিরে এলেন মোদি?

১৪

আমরা বিএনপি পরিবারের সহযোগিতায় সুস্থতার পথে ছোট্ট রাতুল 

১৫

৭ বছর আগে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে খুঁজে পেলেন ফেসবুকে, সঙ্গে অন্য নারী

১৬

ইলিয়ানার কাছে মাতৃত্বই এখন প্রাধান্য

১৭

হচ্ছে না সিন্ডিকেট, বাকৃবিতে হল বন্ধের নোটিশ বহাল

১৮

চার দিনেও জ্ঞান ফিরেনি ইমতিয়াজের, মামুনকে কেবিনে স্থানান্তর

১৯

ম্যানেজিং কমিটিতে থাকলে এমপি প্রার্থী নয়

২০
X