নেত্রকোনা হত্যাকাণ্ডের ১৮তম বার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৯ সালে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা করেছিল মুক্ত চিন্তার বিরোধী অপশক্তি। সেই হামলাসহ এ যাবত সংঘটিত বেশিরভাগ বোমা হামলারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। আর সেজন্যই এখনো স্বাধীন বাংলাদেশে আস্ফালন দেখায় অন্ধকারের শক্তি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা হত্যাকাণ্ডের ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, যত হামলাই আসুক, অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে বিচ্যুত করা যাবে না।
২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলায় মারা যান উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেনসহ আটজন। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ৯ জন পুলিশ সদস্য এবং উদীচীর বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীসহ অন্তত ৬০ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরদিন মারা যান সুদীপ্তা পাল শেলী। নিহতদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকাসহ নেত্রকোনায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি প্রবীর সরদার, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এবং ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর। বক্তারা বলেন, ২০০৫ সালের এই দিনে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ঘৃণ্য হামলায় যারা আহত হয়েছিলেন তারা বয়ে বেড়াচ্ছেন শরীরে ক্ষতের অসহ্য যন্ত্রণা।
মন্তব্য করুন