সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো নেভেনি। বনের যে অংশে আগুন লেগেছিল, সেসব স্থান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। মাঝেমধ্যে কোথাও অল্পস্বল্প আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। তবে যেখানে আগুন বা ধোঁয়া দেখা দিচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে।
তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে শুরু করে বন বিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘রোববার (৫ মে) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে বন বিভাগ। ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সকাল থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কেননা আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।
এদিকে রোববার রাতে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বনে লাগা আগুন নেভাতে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে এবং ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। আগুনে ৫ একর বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুন যেন পুনরায় জ্বলে উঠতে না পারে এ জন্য আরও তিন দিন নেভানোর কাজ চলবে। বনের সার্বিক অবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে ড্রোন ব্যবহার করে। আগুন লাগার ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ মে) থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে। খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোর নেতৃত্বে গঠিত টিম ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এদিকে আগুন লাগার কারণ এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি বন বিভাগ। তবে তা উদ্ঘাটনে কাজ করছে বন বিভাগের তদন্ত কমিটি।
মন্তব্য করুন