‘পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি’ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
প্রিন্স মুর্তজা খান : কালের ভেদে সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশের আয়ের অনেক বড় অংশ আসে এই পোশাকশিল্প থেকে। এসব বিবেচনা করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন অতিদ্রুত বৃদ্ধি করা উচিত। পোশাক শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে আমি একমত।
মো. নকিবুল হাসান : আমরা অনেক পরিশ্রম করে পোশাকশিল্পকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছি। আমাদের দিকেও তাদের একটু দেখা দরকার। করণ, বর্তমান বাজারে ২০,০০০ টাকা ছাড়া সংসার চালানো খুবই কষ্টের।
মো. মিলন মিয়া : সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কম হলেও সমস্যা নেই, কারণ তাদের ঘুষ খেতে পারে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন অবশ্যই বাড়ানো উচিত। কারণ তারা ঘুষ খেতে পায় না।
মো. শাওন : বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম তার সঙ্গে তাদের বর্তমান মজুরিতে চলে না। তাই তাদের মজুরি বাড়িয়ে দেওয়া উচিত এবং জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেওয়া উচিত।
এম এ আলী : জনগণের সরকার না হলে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কোনো মূল্যায়ন হবে না। যখনই সরকার কোনো কিছুর দাম বেঁধে দিচ্ছে তখনই তা আরো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু শ্রমিকদের শ্রম ছাড়া বাকি সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। শ্রমিকের ন্যায্য দাম না দিলে এক দিন পস্তাতে হবে। যে দুটি খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ টিকে আছে সে দুটি খাতের মানুষই এই সরকারের কাছে সবচেয়ে অবহেলিত। তারা হলেন প্রবাসী ও গার্মেন্টস শ্রমিক।
মো. রাসেল : বেতন যত বাড়বে জিনিসপত্রের দাম আরও দ্বিগুণ হবে। তার চেয়ে বেতন আগের মতো থাক, পণ্যের দাম কমাক।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ : সারা দিন গার্মেন্টসে পরিশ্রম করে বাসায় এসে বাজারে গিয়ে যখন কিছু কিনতে যাই তখন চিন্তায় পড়ি। এই টাকায় পুরো মাস চলতে হবে। তাই অল্প কিছু কিনে বাজারটা শেষ করি। এর চেয়ে কষ্ট আর কী হতে পারে। বেতন অবশ্যই বাড়ানো উচিত।
মো. ইরফান উদ্দিন : শ্রমিকদের মজুরি ও কদর বাড়লে দেশের মান এবং উৎপাদন বাড়বে।
মো. রাশেদ : বেতন না বাড়ালে শ্রমিক চলবে কীভাবে। বেতন বাড়াতে হবে। সর্বনিম্ন ২৫০০০ টাকা করতে হবে। গ্রেড অনুযায়ী বেতন দিতে হবে।
সেকান্দার মানিক : দেশের শ্রমবাজারের বড় একটা অংশ হলো পোশাকশিল্প। পোশাকশিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করে যার বেশির ভাগ নারী শ্রমিক। এ খাত টিকিয়ে রাখতে হবে। শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে ন্যায্য মজুরি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। না হলে এ শিল্পের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, যা কারো কাম্য নয়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ও বিবিধ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি যা শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আবার পোশাকশিল্পের বাজারও বৈশ্বিক কারণে মন্দা। তাই মালিক ও শ্রমিক একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সমাধানে পৌঁছানো উচিত।
নুর আহমাদ সিদ্দিকী : বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে শ্রমিকদের পাওয়া মজুরি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। হয় দ্রব্যমূল্য কমান, না হয় দেশের শ্রমিকদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য দিন। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। দেশ সচল আছে পোশাক খাত, বৈদেশিক রেমিট্যান্স এবং কৃষি খাত নিয়ে। অথচ আজ তারাই পদে পদে লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত। কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা পাচার হলেও সরকার নির্বিকার। দুর্নীতি রোধ করার কোনো উদ্যোগ নেই। দেশকে সুন্দরভাবে গড়তে হলে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
মো. রায়হান হোসাইন : হয় পোশাক শ্রমিকের বেতন বাড়িয়ে দিক। না হয় দ্রব্যমূল্য আগের অবস্থায় এনে দিক।
আল আমীন হোসাইন : শ্রমিকদের ঘাম ঝরা পরিশ্রমে মালিকরা ধনী হয়। সুতরাং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দুঃসময়ে শ্রমিকদের জীবনধারণের জন্য অবশ্যই মজুরি বৃদ্ধি করা জরুরি। মালিকরা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছে কিন্তু শ্রমিকদের পরিশ্রমের দাম বাড়াচ্ছে না।
মো. সাইফুল ইসলাম : বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি খুবই কম। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করা উচিত।
মো. মোকসিদুল মোমিন : একজন শ্রমিককে জিজ্ঞেস করবেন, কবে সে বাজার থেকে কিনে ফল খেয়েছিল? বলতে পারবে না, তার মনে নাই। জিজ্ঞেস করবেন, ব্যাংকে তার সঞ্চয় আছে কি না। সে বলবে নেই। এটাই গার্মেন্টস শ্রমিকের জীবন।
মো. তারেক : পোশাক শ্রমিকের দাবির যুক্তি আছে। সারা দেশে পোশাক শ্রমিক থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর কথা যতক্ষণ তারা কর্মস্থলে থাকে ততক্ষণ চিন্তা করে, এর বাইরে গেলে কেউ তাদের কথা চিন্তা তো দূরের কথা মনেও রাখে না। যাদের দ্বারা পোশাক মালিকরা আজ শিল্পপতি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক, বাড়ি-গাড়ি-ব্যাংকসহ ইত্যাদির মালিক। বেতন বৃদ্ধি করলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না মালিকপক্ষের। এতে আল্লাহ খুশি হবেন। সেই সঙ্গে মালিক-শ্রমিকের একটা ভালোবাসা তৈরি হবে।
মো. নাইম মিয়া : ৭০ টাকা লিটারের তেল যদি ২২০ টাকা হতে পারে তবে পোশাক শ্রমিকদের ৮০০০ টাকার মজুরি কেন ২৩,০০০ টাকা হতে পারে না?
ইসমাইল মাহামুদ সিরাজি : বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থেকে সব কিছুরই দাম বাড়ছে। শুধু শ্রমিকদের বেতনই বাড়ে নাই। একজন শ্রমিক সারা দিন শ্রম দিয়ে ৮০০০ টাকা বেতন দিয়ে ঘর ভাড়া, সংসারের যাবতীয় খরচ দিতে পারে না। এই রকম লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের একটাই দাবি সর্বনিম্ন মজুরি ২৩, ০০০ টাকা করতে হবে। তাহলেই সাধারণ শ্রমিকরা সংসার চালাতে পারবে।
মো. আনোয়ার ইসলাম মেজবাহ : আমি গার্মেন্টসের চাকরি করি। আমি বুঝি কতটা কষ্ট করে কাজ করতে হয়। বেতন বাড়ানো খুব দরকার। জিনিসপত্রের অনেক দাম। মাস শেষে হাতে এক টাকাও থাকে না।
জাহিদুল ইসলাম নোমান : বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা প্রবাসীদের মতোই দেশের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই পোশাক শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রাপ্ত সম্মান নেই। তাদের বেতন তো ঠিকমতো দেওয়া হয় না। বেতন তো অবশ্যই বাড়াতে হবে।
ফজলে রাব্বি : গার্মেন্টস কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। বর্তমান বাজার, নিত্যপণ্য এবং একজন সাধারণ মানুষের আয়-ব্যয় হিসাব করলে ব্যয়ের পরিমাণ আগের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু বেতন কি দ্বিগুণ হয়েছে? তা হয়নি। ফলে তাদের বেতন বৃদ্ধি সময়ের দাবি।
মন্তব্য করুন