কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:২২ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না : নজরুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পুনর্গঠন দিবস উপলক্ষে সভায় অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পুনর্গঠন দিবস উপলক্ষে সভায় অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান সব মত ও পথের ব্যক্তিদের একটি প্ল্যাটফর্মে এনে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আমরা এখন কি দেখছি? স্বাধীনতার সুফল ছিনতাই হয়ে গেছে। ভোটের আগের দিনই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে যায়। যেই সরকারের অধীনে এরকম নির্বাচন হয় সেই সরকারের আমলে কোনো নিরপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে, এই সংসদ বহাল রেখে, এই নির্বাচন কমিশনের মতো অনুগত নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা এখন সব দলের, মতের, পথের জনগণের দাবি।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) পুনর্গঠন দিবস উপলক্ষে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, জাগপার মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল প্রধান, ইসলামিক ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) সহসভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম, মহাসচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মুসলিম লীগ একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ আমলে মুসলিম লীগের অনেক নেতার জনপ্রিয়তা ছিল তবে অনেক মুসলিম লীগ নেতার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছিল।

আরও পড়ুন : ডিসেম্বরের মধ্যেই পরিবর্তন আস‌বে : দুদু

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য অহেতুকভাবে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। এটা সহ্য করা যায় না। যদি এই অত্যাচার সহ্য করা হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গুম খুনের স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলনরত জনগণের সঙ্গে, হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। রাজনৈতিক কারণে যারা আইনকে ব্যবহার করে তাদের হাতে আইন তুলে দেওয়া যায় না। দেশ ও জাতি নিরাপদ থাকতে পারে না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আন্দোলরত জনগণের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১০

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১১

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১২

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৩

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৪

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৫

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে সতর্ক অবস্থানে তামিম

১৬

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৭

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৮

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

১৯

পায়ের ফাঁকে বালিশ দিয়ে ঘুমালে কী হয়, জানেন কি?

২০
X