বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে যাবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান।
মিডিয়া সেলের এই সদস্য জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি দুপুর সাড়ে ১২টায় যাবেন।
শনিবার (২ আগস্ট) ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানান চিকিৎসক ও জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে সাতজনের একটি চিকিৎসক দল এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর কবির। এ সময় জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা, হাসপাতালের ডা. শহিদ আলম চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘ওনার সার্জারি খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম তাকে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্জারি করতে, সেটা পেরেছি। ওনার তিনটা বাইপাস করার কথা ছিল। আমরা চারটা বাইপাস করেছি, যেন কোনো দিক থেকেই কোনো সমস্যা না হয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই সার্জারি শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে আইসিইউ থেকে কেবিনে পাঠানো হবে তাকে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের আমিরের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ আছেন। তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে দুবার ঢলে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। পরে মঞ্চে বসেই বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশ শেষে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা না পড়ায় পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। এর পর ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করলে আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি আর্টারির ব্লক প্রায় ৮৫ শতাংশ।
মন্তব্য করুন