কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দলে স্বীকৃতি না দিলে আত্মাহুতির হুমকি আলী আকবরের

আমরণ অনশনে বসেছেন আলী আকবর সিদ্দিকী। ছবি : কালবেলা
আমরণ অনশনে বসেছেন আলী আকবর সিদ্দিকী। ছবি : কালবেলা

সম্প্রতি ঘোষিত আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পেয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন আলী আকবর সিদ্দিকী। দলের স্বীকৃতি না পেলে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে আত্মাহুতি দিবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণের এই সাবেক নেতা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তিনি।

জানা গেছে, এদিন দুপুর থেকেই আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টানিয়ে আমরণ অনশনে বসেন চট্টগ্রামের এই সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। ব্যানারে তিনি লিখেন, ‘সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও দলছুট দুর্বৃত্তরা পদ-পদবি পেয়েছে অথচ দল দুর্দিনের আদর্শিক ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমার রাজনীতির সুদীর্ঘ ৪৪ বছরের শ্রম, ঘাম-রক্ত, জেল-জুলুম, আন্দোলন সংগ্রামের সম্মানজনক স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন।’

পরে আওয়ামী লীগ অফিসের কর্মচারীরা এই স্থান ত্যাগ করতে নির্দেশনা দিলে তিনি অফিসের বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল সংলগ্ন জায়গায় অনশন চালিয়ে যান।

আলী আকবর কালবেলাকে বলেন, লেজুড়বৃত্তি না করায় আমাকে দলের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। আমাকে দল থেকে স্বীকৃতি না দিলে আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে আত্মাহুতি দিব।

জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের এই জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রয়াত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এর আগে ২০০৫ সালের সম্মেলনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০১২ সালের আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আলী আকবর বিভিন্ন সময়ে ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কয়েকটি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতি করেছেন। এই তিন কমিটিতে পোস্ট না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলী আকবর বলেন, রাজনীতি ছেড়ে দিলে দলের ক্ষতি হবে এ জন্য দলে ফিরতে আগ্রহী।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘবছর তার সঙ্গে কারো যোগাযোগ নেই। এমনকি তিনি যে রাজনীতি করতে চান সেজন্য জেলার নেতা হিসেবে আমাদের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পর কেন তিনি এই অনশনে বসলেন। হয় তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, নয়তো দলের যারা পদোন্নতি পান নাই এবং দল থেকে বাদ পড়েছেন তাদের ইন্ধনে এই রহস্যজনক আচরণ করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাম কমলো ইন্টারনেটের

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা উপযোগী, ভাবার অনুরোধ তারেক রহমানের

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জুলাই নিয়ে পুলিশ সদস্যের ‘আপত্তিকর’ পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

শাহজালালে বোয়িং বিমানে লাগেজ ট্রলির আঘাত

আখতারকে রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

মধ্যরাতে বরখাস্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার

‘একসঙ্গে সমুদ্রে নেমে তো গোসল করতে পারব না’

জুলাই যোদ্ধার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম ২ জায়গায়

১০

বিএনপির অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

১১

রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে লায়ন্স ক্লাবের খাবার বিতরণ

১২

জামায়াত-গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় / নির্বাচনী জোট গঠনে একমত

১৩

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসার সুপার কারাগারে

১৪

তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে জুলাই আন্দোলন সফল হতো না : মুরাদ

১৫

চট্টগ্রাম নগরীতে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেপ্তার

১৬

‘প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করি’

১৭

মেয়ের জন্য চিপস আনতে গিয়ে প্রাণ হারান মোবারক

১৮

১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় সংকটে মার্কিন ডলার

১৯

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন : অধ্যাপক মোর্শেদ

২০
X