রাজনৈতিক দলসমূহের কারো কারো উগ্র ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য-বিবৃতি, সরকারের অকার্যকারিতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগত দায়িত্বে দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে এখনো ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয়-সন্দেহ অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাইফুল হক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রথমে ঢাকার মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে, তারপর চট্টগ্রামে ইপিজেডে এবং ৩ দিন আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ওয়ার হাউজে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা নিছক একটি দুর্ঘটনা বলে মনে হয় না। এসব ঘটনা পরিকল্পিত কোনো নাশকতার অংশ কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
তিনি এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় সামনের দিনগুলোতে এই ধরনের আরও আশঙ্কা থাকবে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিৎসা ও প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর আড়াইটায় এই সমাবেশ শুরু হবে।
সাইফুল হক বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সরকারকে দ্রুত যাবতীয় পক্ষপাতদুষ্টতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে প্রয়োজনে দক্ষ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রকৃতপক্ষে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি অবিলম্বে সরকারের মধ্যে থাকা সরকারগুলো ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, যুবরান আলী জুয়েল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন