চট্টগ্রামের প্রস্তাবিত ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলা গঠন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে। তারা বলছেন, এসব এলাকা নতুন উপজেলার আওতায় নেওয়ার প্রস্তাব ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
এতে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হবে। এ প্রস্তাব বাতিল না হলে সড়ক অবরোধ, অফিস ঘেরাও ও গণঅনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) নগরীর একটি কনফারেন্স হলে ‘বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া। তিনি বলেন, সুয়াবিল ইউনিয়ন ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অংশ। ফটিকছড়ি সদরের সঙ্গে যার দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার, সেখানে প্রস্তাবিত নতুন উপজেলা সদর থেকে এ দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এতে এখানকার মানুষকে প্রশাসনিক ও নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান অধ্যাপক কিবরীয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর পরিচালক রকিবুল আলম চৌধুরী, উত্তর ফটিকছড়ি নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক ও বিএসআরএমের কর্মকর্তা ওসমান গণি মজুমদার, অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনি, সুয়াবিল ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম সফিউল আলম, ডা. এসএম ফরিদ, ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, মো. হামিদুর রহমান, এসএম নঈম উদ্দিন, মো. রাসেল, গাজী আমান উল্লাহ, মো. শাহজাহান, মাহবুবুল আলম, আমান উল্লাহ ও ফয়জুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন