কেউ মারা গেলে প্রিয়জন হারানোর ব্যথা সহ্য করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। ইসলাম এ ধরনের শোক প্রকাশের অনুমতি দেয়, তবে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে চিৎকার করা, বুক চাপড়ানো নিষিদ্ধ।
এক হাদিসে হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘আপনজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়।’ তবে আপনজনের মৃত্যুতে অনিচ্ছায় চোখের পানি গড়িয়ে পড়লে কোনো অসুবিধা নেই।
কান্নাকাটির বাইরেও আবেগ সামলাতে না পেরে মৃতের মুখে বা কপালে চুমু দিয়ে থাকেন। হাদিসের আলোকে ইসলামী বিজ্ঞরা এই কাজকে জায়েজ বলেছেন। পুরুষদের জন্য মৃত পুরুষ ব্যক্তিকে এবং নারীদের জন্য মৃত নারীকে চুমু খাওয়া জায়েজ।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী (সা.) কাঁদতে কাঁদতে মৃত উসমান বিন মাজউনকে চুমু খেয়েছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩১৬৩)
আরও বর্ণিত আছে, ‘আবু বকর সিদ্দিক (রা.) নবী (সা.)-কে তার মৃত্যুর পর চুমু খেয়েছিলেন।’ (বুখারি : ৪৪৫৭)
শায়খ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে চুমু খেতে কোনো আপত্তি নেই। যদি মৃত ব্যক্তির কোনো মাহরাম নারী আত্মীয় কিংবা কোনো পুরুষ লোক তাকে চুমু খান। যেমনটি আবু বকর (রা.) নবী (সা.)-এর সঙ্গে করেছেন।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া : ১৩/১০২)
তবে অপর এক হাদিসে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যে শোকে গালে চপেটাঘাত করে, জামার অংশবিশেষ ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলি যুগের মতো চিৎকার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ১২৩৫; মুসলিম, হাদিস : ২৯৬)
মন্তব্য করুন