অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ এ দল। পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের দুটি ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে শুক্রবার (৯ আগস্ট) ঢাকা ছাড়েন মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হকরা। আগামী ১৩ আগস্ট শুরু হবে প্রথম চার দিনের ম্যাচ।
পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেওয়া আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলের লক্ষ্যের কথা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
তার মতে রাজনীতিকে স্থান না দিয়ে ক্রিকেট আপন গতিতে চলে। তিনি বলেন, ‘একটা অশান্তির মধ্যে ছিলাম। সেটা থেকে ঘুরে এসে... আমি নিশ্চিত সাধারণত ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতির তেমন প্রভাব পড়ে না। কারণ ক্রিকেট কিন্তু ক্রিকেটের গতিতে এগিয়ে চলে। প্রতিটা খেলাই আসলে।’
দেশের এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘ওইটার জন্য চ্যালেঞ্জের কিছু না। চ্যালেঞ্জ আসলে ক্রিকেটটাই। যখনই আমরা যেখানে খেলতে যাই, প্রত্যেকটা জিনিসই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমরা যারা ক্রিকেটার (ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত), আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ বলে কিছু নেই। আমাদের জন্য প্রত্যেকটা সিরিজ, প্রত্যেকটা খেলা সব কিছু নতুনভাবে শুরু করতে হয়। এখন যে পরিস্থিতি, এখন তো খুব একটা বাজে অবস্থায় নেই পরিস্থিতি। যে কারণে আমাদের খেলাগুলো পিছিয়ে ছিল।’
‘এ’ দলের পর পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তাই এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন রাজ্জাক, “খুবই বড় সুযোগ বাংলাদেশ দলের জন্য। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, যেখানে জাতীয় দল খেলতে যাবে, সেখানে ‘এ’ দল আগে যাচ্ছে। যেটা আমরা সাধারণত ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে দেখি। যখনই যে কোনো দেশে জাতীয় দল যায়, ওরা আগে ‘এ’ দলটা পাঠিয়ে দেয়। যাতে করে কন্ডিশন বা যদি এমন কেউ থাকে অনুশীলন করিয়ে নেওয়ার মতো, সেটা করায়। আমাদের ক্ষেত্রেও কিছুটা অমনই। অনেক ছেলের জন্য পাকিস্তানের কন্ডিশনটা নতুন হবে। যারা আপকামিং, তাদের জন্য প্রতিটা কন্ডিশনে পরীক্ষা দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য আসলে।”
এ সফরে পাকিস্তান এ-দলের বিপক্ষে দুটি চার দিনের ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ এ-দল। আগের সূচি অনুযায়ী, ১০ ও ১৭ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল চারদিনের দুটি ম্যাচ। নতুন সূচিতে এই দুটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ আগস্ট।
আর ২৩, ২৫ ও ২৭ আগস্ট হওয়ার কথা ছিল তিন ওয়ানডে। তবে নতুন সূচি অনুযায়ী- ২৬, ২৮ ও ৩০ আগস্ট হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।