বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন লিটন দাস। তার ভাষ্য অনুযায়ী, দলীয় সাফল্যের জন্য কেবল ‘আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ড’ নয়, ম্যাচের প্রেক্ষাপট বুঝে খেলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—এটাই হতে যাচ্ছে তার নেতৃত্বদানের মূলমন্ত্র।
বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার’ কথা বলা হলেও, বাস্তবে সে প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আধুনিক আক্রমণাত্মক স্টাইলে পিছিয়ে পড়েছে দল। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান করার ব্যর্থ প্রয়াসের ফলেই মাঝের ওভারে গতি হারিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
তবে লিটনের ভাবনাটা একেবারেই আলাদা। ‘জিতলেই হলো, সেটা ২০০ রান তাড়া করেই হোক বা ১৪৫ রান’—লিটন
শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ১৭ মে। তার আগের দিন প্রথম সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন,
‘আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কথা বলছি না। একেক ম্যাচে ভিন্ন পরিস্থিতি থাকবে—কখনো ২০০ রান তাড়া করতে হবে, কখনো ১৪০-১৫০ রান। দলের লক্ষ্য একটাই—ম্যাচ জেতা।’
তার মতে, ‘একজন ব্যাটারের এক ম্যাচে ২০ বলে ৪০ রান করা লাগবে, পরের ম্যাচে হতে পারে ২০ বলে ১৫। খেলোয়াড়দের এটা বুঝতে হবে যে, দল তাদের কাছ থেকে কী চায়।’
লিটনের বিশ্বাস, খেলোয়াড়রা নিজ নিজ ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করলেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল উন্নতির পথে এগোবে।
বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা নয়, বরং সরাসরি খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন লিটন। ‘আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গেই বেশি সময় কাটাতে চাই। এতে ওদের বুঝতে পারব, সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে পারব।’
নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাবেক অধিনায়কদের কাছ থেকে শেখা ইতিবাচক দিকগুলো নিজের নেতৃত্বে প্রয়োগ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ইউএই সিরিজের পরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের আরেকটি সিরিজ আছে ক্যালেন্ডারে, যা অনুষ্ঠিত হবে খেলোয়াড়দের সম্মতির ভিত্তিতে। ইতোমধ্যে সরকার সেই সফরের অনুমোদন দিয়েছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে লিটনের অধিনায়কত্বের শুরুতেই বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
টিম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে চলছে এক রূপান্তরের সময়। এই প্রেক্ষাপটে লিটনের নেতৃত্ব কেমন ফল দেবে, সেটা আগামী ক’দিনেই চোখে পড়বে—কিন্তু তার চিন্তাধারা যে বাস্তবধর্মী এবং দলকে নতুন দিশা দেখানোর মতো, সেটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।
মন্তব্য করুন