ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক পাঁচ টেস্টের সিরিজ সামনে রেখে ভারতের দল ঘোষণা নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়েছে অধিনায়ক শুভমান গিলকে নিয়ে, তার চেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে—‘জাসপ্রীত বুমরাহকে অধিনায়ক করা হলো না কেন?’ এই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা-কল্পনার ঢেউ। তবে এবার সেই জল্পনায় নিজেই ছেদ টানলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকর।
দলে বুমরাহ আছেন। ফিট। দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্যও বটে। এত কিছুর পরও নেতৃত্বের ভার গেল শুভমান গিলের কাঁধে। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আগারকর সোজাসাপ্টা বলেন, ‘জাসপ্রীত বুমরাহ আমাদের দলের অন্যতম সেরা সম্পদ। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি ও ওয়ার্কলোড বিবেচনায় আমরা মনে করেছি, অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব তার উপর চাপ হয়ে দাঁড়াবে। সে হয়তো পাঁচটি ম্যাচ খেলতেও পারবে না। এই কারণেই আমরা তাকে নেতৃত্বে আনিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বা চার টেস্টে যদি ও অংশ নেয়, সেটাই আমাদের জন্য বিশাল পাওয়া। আমরা চাই বুমরাহ বল হাতে যেন ভয়ঙ্কর থাকুক—সেখানেই সে সেরা।’
আগারকরের বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে, সিরিজের সব ম্যাচেই দেখা নাও যেতে পারে বুমরাহকে।
‘ওর শরীরের অবস্থা অনুযায়ী আমরা সিরিজ চলাকালীন ঠিক করব ও ক’টা ম্যাচ খেলবে। পুরো পাঁচ ম্যাচ নয়, তিন বা চারটি খেললেই সেটা বড় প্রাপ্তি হবে।’
বুমরাহ এর আগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন—২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই একমাত্র টেস্টে। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতার পরও নেতৃত্বে না রাখার সিদ্ধান্তে বোঝা যায়, টিম ম্যানেজমেন্ট এবার তার পারফরম্যান্সের দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে চায়। বারবার চোটে ভোগা এই পেসারকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে পাওয়া এবং ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করাই লক্ষ্য।
একনজরে বুমরাহর টেস্ট ক্যারিয়ার (মে ২০২৫ পর্যন্ত):
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভবিষ্যতের নেতৃত্বের সম্ভাব্য তালিকায় নাম ছিল জাসপ্রীত বুমরাহর। কিন্তু এখন বোর্ড ও নির্বাচকেরা বুঝিয়ে দিয়েছেন—এই মুহূর্তে তাঁর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বল হাতে জাদু দেখানো। ব্যাটারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকা এই স্পিডস্টারকে তাই নেতৃত্ব নয়, 'ফায়ার পাওয়ার'-এ ফিরিয়ে আনতেই টিম ইন্ডিয়ার এই পরিকল্পনা।
মন্তব্য করুন