এশিয়া কাপ মানেই ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনার পারদ চড়বেই। তবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববারের ম্যাচে উত্তেজনা ছাপিয়ে গিয়েছে বিতর্কে। পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামানের আউটকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম—সবখানেই চলছে সমালোচনার ঝড়।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বল। হার্দিক পান্ডিয়ার অফ–কাটারে বলের গতি কমে যায়। সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে যান ভারতের উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন। ফখর তখনও নিশ্চিত ছিলেন বল মাটিতে লেগে গেছে। মাঠের আম্পায়ারও দ্বিধায় পড়ে সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের হাতে তুলে দেন।
কিন্তু রিপ্লে ঘুরেফিরে দেখার পরও টিভি আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে ফখরকে আউট দেন। কিছুটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরতে হয় বাঁহাতি ওপেনারকে। সেখানে পৌঁছে কোচ মাইক হেসনের সঙ্গে ক্ষোভ আর বিস্ময় প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাকে।
ঘটনার পরপরই পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভেদ আকরাম চীমা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে আপত্তি জানান। তবে এটি রেফারির এখতিয়ারের বাইরে বলে জানানো হলে বিষয়টি তিনি সরাসরি আইসিসির আম্পায়ার ম্যানেজারের কাছে উত্থাপন করেন।
ঘটনার পর পাকিস্তানি ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দেন। সাবেক তারকারাও ছিলেন সেই তালিকায়। ফওয়াদ আলম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা ১১ নয়, ১৪ জনের বিপক্ষে খেলছি। ফখর একেবারেই আউট ছিলেন না।’
মোহাম্মদ আমির সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, ‘ফখর আউট ছিল না—এইটাই টুইট।’
আর মোহাম্মদ হাফিজের মতে, ভারতকে হারাতে হলে পাকিস্তানকে শুধু নয়, আম্পায়ারিংকেও হারাতে হবে ‘পাকিস্তানকে ভারত আর অনফিল্ড আম্পায়ারিং দুটোই হারানোর জন্য ‘এ+ গেম’ খেলতে হবে।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা অসন্তোষ প্রকাশ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে বল মাটিতে লেগেছিল। আম্পায়ারও ভুল করতে পারেন, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে এটা আউট ছিল না। ফখর যদি পাওয়ারপ্লে পর্যন্ত খেলত, আমরা হয়তো ১৯০ রান করতে পারতাম।’
সব মিলিয়ে, এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান লড়াই আবারও রং পেল বিতর্কের ছোঁয়ায়। এখন দেখার বিষয়, আইসিসির কাছে অভিযোগ জানালেও পাকিস্তান আদৌ কোনো সাড়া পায় কি না।
মন্তব্য করুন