তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হলেও সেটি বেশিক্ষণ টিকেনি বাংলাদেশ দলের। ইনিংসের শুরুতেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত জুটি দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলে। তাদের ফিফটিতে ভর করে ২৮০ রানের স্বপ্ন দেখলেও ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বুধবার টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান শুরুটা আশাব্যঞ্জক করলেও চতুর্থ ওভারেই ধাক্কা খায় দল। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফস্টাম্পের বাইরের এক ডেলিভারিতে কাঁপিয়ে দেন তামিমকে। একবার জীবন পেলেও টিকতে পারেননি তিনি— ১০ বলে ১০ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর দ্রুতই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, করেন মাত্র ২ রান। আর ওয়ানডে অভিষিক্ত সাইফ হাসান কিছুটা লড়লেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৩৭ বলে ২৬ রান করে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকেই পরিস্থিতি সামাল দেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে গড়ে তোলেন দায়িত্বশীল জুটি, পেরিয়ে যান দলীয় একশ রান। ধীরে ধীরে দলের ইনিংসের ভিত গড়ে তোলেন তারা।
শেষ পর্যন্ত হৃদয় ও মিরাজের অর্ধশতক বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নেয় লড়াকু অবস্থানে। তাদের ব্যাটে দলের রান যায় ২০০ পেরিয়ে। তবে ইনিংসের শেষভাগে আফগান বোলারদের নিখুঁত আক্রমণে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২২১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ উভয়েই করেন দায়িত্বশীল ফিফটি। আফগানিস্তানের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান বল হাতে ছিলেন সবচেয়ে সফল।
প্রথম ওয়ানডের এই ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহটি লড়াই করার মতো, তবে জয়ের জন্য বল হাতে নিখুঁত পারফরম্যান্স দেখাতেই হবে টাইগারদের।
মন্তব্য করুন