ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ৫২ শতাংশ। তবে জেলার বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার ৩টি কলেজের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। অকৃতকার্য হওয়া তিন কলেজের মধ্যে দুটি থেকে এবারই প্রথম এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় পরীক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য কলেজগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক শিক্ষকের অভাব ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১২ হাজার ৬১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩৩ জন। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৮৫ জন পরীক্ষার্থী। আর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯ জন। এরমধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ব্যবসায় শিক্ষা এবং বাকিরা মানবিক শাখার শিক্ষার্থী।
একই উপজেলার চাঁনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ১১ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি। প্রত্যেকেই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। এই দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবারই প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
এছাড়া নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকেও অংশ নেওয়া ৪ পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। এদের মধ্যে একজন ব্যাবসায়িক বিভাগ ও ৩ জন মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে নিদারাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান মেহাম্মদ আজমল বলেন, সকল পরীক্ষার্থী ফেল করার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পরীক্ষার পর সবাই বলেছিল পরীক্ষা ভালো হয়েছে। কেনো এমন হলো সেটি বোধগম্য নয়। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে—সেজন্য সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে পরীক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
মন্তব্য করুন