

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতীয় দলের জন্য সন্ধ্যা মুহূর্তেই বদলে গেল। সেসময় ব্যাপারটিকে সাধারণ মনে হলেও তা পরিণত হয়েছে আতঙ্কে। ভারতের প্রথম ইনিংস চলাকালীন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে গলায় সাপোর্ট ব্রেস পরিয়ে স্ট্রেচারে তুলে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হলে গোটা স্টেডিয়াম নিশ্চুপ হয়। পরে জানা যায় গিলকে আজ রাত হাসপাতালেই কাটাতে হবে।
দিনের শুরুতে বিষয়টি এতটা গুরুতর মনে হয়নি। সাইমন হারমারের বিরুদ্ধে স্লগ-সুইপ খেলে চার পেয়েছিলেন গিল। কিন্তু বল খেলার পরেই তার হাত চলে যায় ঘাড়ের পেছনে—ব্যথায় কুঁকড়ে যান তিনি। ফিজিও দৌড়ে এসে পরীক্ষা করতেই তিনি স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। তিন বল খেলে চার রানে অপরাজিত থেকে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হওয়াটা তখন সাধারণ সতর্কতাই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্রে জানা যায়—গিলকে হঠাৎ করেই ফিরিয়ে আনা হয় স্টেডিয়ামের মেডিক্যাল বেতে, সেখানে তার ঘাড় স্থির করতে বিশেষ নেক-ব্রেস পরানো হয়। এরপর স্ট্রেচারে করে সোজা অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাকে। দৃশ্যটি দেখে সতীর্থদের মুখে স্পষ্ট উদ্বেগ।
রিভস্পোর্টস জানিয়েছে, গিলকে কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে রাতভর তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বিসিসিআই পরে একটি বিবৃতিতে জানায়—অধিনায়ক “neck spasm”-এ ভুগছেন এবং চিকিৎসকদের কঠোর তত্ত্বাবধানে আছেন।
সহকারী কোচ মর্নে মরকেল অবশ্য বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।“এটা হয়তো আগের রাতের খারাপ ঘুম থেকেও হতে পারে,” বলেছেন মরকেল। “গিল নিজের ফিটনেস খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করে। শুধু দুর্ভাগ্যজনক সময়।”
গত কয়েক মাসে গিলের সূচি ছিল দম ফেলার মতো সময়হীন—ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দীর্ঘ হোম সিরিজে নেতৃত্ব, তারপর অস্ট্রেলিয়ায় সীমিত ওভারের কঠিন সফর। ব্রিসবেনে ম্যাচ খেলেই রবিবার কলকাতা ফেরা, আর মঙ্গলবার থেকে টিম প্র্যাকটিসে যোগ—সব মিলিয়ে বিশ্রাম বলতে প্রায় কিছুই পাননি তিনি।
আগামীকালের তৃতীয় দিনই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু তার আগেই বড় প্রশ্ন—শুভমান গিল কি আর মাঠে ফিরতে পারবেন? ভারতীয় দল ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সমর্থক—সবার দৃষ্টি এখন শুধু হাসপাতালের সর্বশেষ আপডেটের দিকে।
মন্তব্য করুন