চোটের কারণে খেলা হয়নি এশিয়া কাপ। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় ৮০ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ফিরেই খেলেছেন ৪৪ রানের দারুণ ইনিংস। যদিও এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৮৬ রানের ব্যবধানে।
তবে তামিম ইকবাল এই ম্যাচেও ছিলেন না শতভাগ ফিট। ব্যাটিং করার সময় নার্ভাস ছিলেন তিনি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘মাঠে নেমে ভালো লাগছে। ফিল্ডিংয়ের ৫০ ওভার আর ব্যাট হাতে ২০ ওভার, ভালোই লাগছিল। তবে এখনো অস্বস্তি রয়েছে। স্টিল লটস অব ডিসকমফোর্ট ইন মাই ব্যাক। ফিজিও এবং আমিও চেষ্টা করছি কাটিয়ে ওঠার। তবে এটা সত্যি, এখনো কিছুটা অস্বস্তি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি সাধারণ একটা ম্যাচ, সত্যি কথা বলা হবে না। গত কয়েক মাস যা হয়েছে, আমি যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, অবশ্যই নার্ভাস লাগছিল। তবে প্রথম ওভারের পরই কেটে গেছে।’
চোট থেকে ফিরে ম্যাচ খেলা। তামিমের জন্য পরীক্ষা ছিল কয়েকটি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং বা ফিল্ডিং হোক, মাঠে সময় কাটানোর দরকার ছিল। বডি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করছে এটা বোঝার জন্য। ডিফিকালটিজ ছিল, এখনও আছে। সামনে কীভাবে কী করব এটা সেই প্রশ্ন যার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখন ব্যাট করছি, আমাকে নিজের সেরাটা দিতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করেছি। এমন না যে মাঠে নামলাম আর খেললাম। এটা মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো ২৫৫ রান। যা মিরপুরের উইকেটে খুব একটা কঠিন না। তামিম বলেন, ‘যে ধরনের উইকেট ছিল, সে হিসেবে এই রান তাড়া করার মতোই। তবে ওদেরও ২৫০ করার কথা ছিল না। ওদের ২১০-১৫ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম। উইকেট ভালো ছিল।’
তামিমের চোখ এখন পরের ম্যাচে, ‘আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে একটু ভালো তো অবশ্যই লাগছে। হয়তো পরের ম্যাচ যখনই খেলি নার্ভাসনেস কম থাকবে। শারীরিক প্রতিক্রিয়া, এখন কী অবস্থা এগুলো নিয়ে মেডিকেল টিমের সাথে আলোচনা করছি। এতদিন পর আসলে যে কোনো ব্যাটারের একটু নার্ভাসনেস থাকবে, আমিও ভিন্ন নই।’
৪৪ রানে আউট। অতৃপ্তির জায়গা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি একজন ব্যাটার, আমি তো চাইব ফিফটি হান্ড্রেড করতে। অবশ্যই অতৃপ্তি আছে। আমার সামনে সুযোগ ছিল বড় রান করে দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার, যেটা করতে পারিনি। তাই আফসোস সবসময় থাকবে।’
বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘উনি দুর্দান্ত ছিলেন। আমিও ছোট একটা পার্টনারশিপে ছিলাম। ইনটেন্ট অনেক ভালো ছিল। মনেই হয়নি ৬-৭ মাস বিরতির পর এসেছেন। তাকে দেখে অনেক ভালো মনে হয়েছে, ফিল্ডিংও ভালো ছিল, বল যখনই গেছে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তিনি অনেক ভালো করেছেন।’
মন্তব্য করুন