প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৬ রানের ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয়টিতে শাহীন শাহ আফ্রিদির দলের সুযোগ ছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু এবার হারের ব্যবধান ২১ রান। বাবর আজম ও ফখর জামানের জোড়া ফিফটি সত্ত্বেও টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে এশিয়ার দেশটি।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ফিন অ্যালেনের ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাবর আজমের ৬৬ ও ফখর জামানের ৫০ রানের পরও ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক কিউইরা।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানের মধ্যে বিদায় নেন সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৭ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়েন গড়েন বাবর ও ফখর। ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ২৫ বলে ৫০ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর।
আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে পাকিস্তান। ২ উইকেটে ৯৭ থেকে ৬ উইকেটে ১২৫ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। পাকিস্তানের আশা-ভরাসার প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক বাবর। এদিন টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন পাকিস্তানের রানমেশিন। ৪৩ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানে আউট হন বাবর। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতেই ১৭৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। অ্যাডমা মিলনে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর এদিনও চড়াও হন ফিন অ্যালেন। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে মাত্র ৩১ বলে ৫৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন কিউই ওপেনার। ২০ রানে আমের জামালের শিকার হন বাঁহাতি ওপেনার। কেইন উইলিয়াসন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে ১৫ বলে ২৬ রানে মাঠ ছাড়েন। কিউই অধিনায়কের পরিবর্তে নেতৃত্ব দেন টিম সাউদি।
মাত্র ২৪ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূরণ করেন অ্যালেন। উসামা মিরের শিকার হয়ে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ বলে ৭৪ রান করেন এই ওপেনার। অ্যালনের বিদায়ের সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৫৩। নিজের শেষ দুই ওভারে ৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। শেষ ৫ ওভারে ৪১ রান দেওয়ায় ১৯৪ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। হারিস রউফ ৩৮ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন