তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ানদের দেওয়া ৮৭ রানের টার্গেট ২৫৯ বল হাতে রেখে জিতেছে স্বাগতিকরা। যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড অজিদের।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যানবেরার মানুকা ওভালে ২৪.১ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে ৬.৫ ওভারেই জয়ের বন্দবে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। এদিন ২৫৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অজিরা। এর আগে ২০০৪ সালে সাউদাম্পটনে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬ রান ২৫৩ বল হাতে রেখে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
৮৭ রান তাড়া করতে নেমে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করেন জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও জস ইংলিশ। মাত্র ৪.৩ ওভারে ৬৭ রান তুলে ফেলে অজিরা। ঝড় তোলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুলিয়ান জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ১৮ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। আরেক ওপেনার জশ ইংলিশও ঝড় তোলেন। ১৬ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইংলিশ। তাদের ব্যাটিংয়ে ২৫৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে নিজেদের ১০০০তম ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারেই তাণ্ডব চালান জেভিয়ার বার্টলেট। দ্বিতীয় উইকেটে ২৫ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন অ্যালিক অ্যাথানেজ ও কিসি কার্টি। ১১তম ওভারে কার্টি বিদায় নিলে ধসের শুরু হয় উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৪.১ ওভারের মধ্যে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭১ থেকে ৮৬-এই ১৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বার্টলেট। প্রথম ওয়ানডেতেও ৪ উইকেট পেয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন লেন্স মরিস ও অ্যাডাম জাম্পা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ওপেনার অ্যাথানেজ।
মন্তব্য করুন