১০ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো লিগ পর্বে শীর্ষে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারের আসরের রানবন্যা বইয়ে দেওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। সবশেষ ২০১৪ সালে ট্রফি নিয়েছিল কলকাতা।
তবে এবারের আইপিএল ফাইনালকে ঠিক পয়সা উসুল ফাইনাল বলা যায় না। আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে এমন একচেটিয়া ফাইনালও খুব কম হয়েছে। ব্যাটারদের তাণ্ডবে ফাইনালে যাওয়া হায়দরাবাদ ফাইনাল হেরেছে তার ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই। রোববারের (২৭ মে) প্রথমে ব্যাটিং করে সর্বসাকূল্যে ১১৩ রান করে প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হেসেখেলেই জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৫৭ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয়ে আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় কলকাতা। তবে এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ভেঙ্কটেশ আয়ারের ৯১ রানের জুটি পশ্চিম বাংলার ফ্রাঞ্চাইজিটি জয় নিশ্চিত করে। ১০২ রানের মাথায় শাহবাজ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ আউট হলে ভাঙে এই বিধ্বংসী জুটি। ভেঙ্কটেশ অবশ্য দলকে জিতিয়েই ।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী ঝড়ের মুখে পড়ে হায়দদরাবাদের ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে ডাক মারান বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। তবে তারাও ব্যর্থ হন।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রোটিয়া ব্যাটার মার্করামও ব্যর্থ হন। ২৩ বলে ২০ রান করেন তিনি। ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া হায়দরাবাদের বিপদ আরো বাড়ে শাহবাজ ও সামাদের বিদায়ে। এদিন পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন বিধ্বংসী ক্লাসেনও। শেষ দিকে অন্তত তাকে নিয়ে কিছুটা হলেও আশা করছিল হায়দরাবাদ। সেটিও হলো না। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন। শেষ দিকে একাই লড়াই করেন অধিনায়ক কামিন্স।
মন্তব্য করুন