সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ কম্বোডিয়া। দেশটির রাজধানী নমপেনে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নমপেনে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। সে লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। জাপানের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-২৩ ম্যাচে ব্যস্ত থাকায় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ফুটবলারকে ছাড়া ওই প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল স্বাগতিকরা। অলিম্পিক দলের ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি শক্তি বাড়াবে কম্বোডিয়ার।
তাই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘সর্বশেষ আমরা যখন এখানে এসেছিলাম, তখন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছে। এ ম্যাচেও একই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ বছর আমাদের কাছে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ গুরুত্বপূর্ণ। কম্বোডিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের প্রস্তুতির জন্য আদর্শ।’
দলের প্রস্তুতি নিয়ে স্প্যানিশ এই কোচ বলেছেন, ‘এখানে আসার আগে ঢাকায় এক সপ্তাহ ট্রেনিং করেছি। এখানে চার-পাঁচ দিন প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। এখানে ট্রেনিংয়ের ভালো মাঠ পেয়েছি। টিফফি আর্মির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটাও কাজে দেবে।’
এদিকে গ্যালারিতে সমর্থকদের পাশে পান কম্বোডিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ ফেলিক্স ডালমাস, ‘সমর্থকরা দারুণ উদ্দীপনা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন। আমি চাই তারা দলটার ওপর, ফুটবলারদের ওপর বিশ্বাস রাখুক। আমরা আপনাদের জয় এনে দিতে চাই, খুশি করতে চাই।’ বুয়েন্স আইরেসে জন্ম নেওয়া ৩৫ বছর বয়সী এই কোচ যোগ করেন, ‘আমরা যে ঘরানার ফুটবল খেলি, সেটা দিয়েই কম্বোডিয়াকে তুলে ধরতে চাই। যাদের ডেকেছি, তাদের নিয়ে আমি ভীষণ খুশি। কেননা আমি নতুন মুখ ও নতুন মেধা পছন্দ করি।’
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘টিফফি আর্মি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আমাদের পরীক্ষা, কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আরও বড় পরীক্ষা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’ ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার দাবি করেন, ‘আমরা জানি, ভালো একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ, কম্বোডিয়ার ভালো মানের ফুটবলার রয়েছে। আমরা এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’ এ সময় প্রতিপক্ষের খেলার কৌশল সম্পর্কে জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘কম্বোডিয়ার খেলোয়াড়রা টেকনিক্যালি শক্তিশালী। আমি মনে করি, তারা বল পায়ে খুব ভালো। তাদের সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে।’
কম্বোডিয়ায় প্রীতি শেষে ভারতের বেঙ্গালুরুতে যাবে বাংলাদেশ দল। কর্ণাটক রাজ্যের এই শহরে ২১ জুন শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠেত্বের লড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতার ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান। ২২ জুন লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লাল-সবুজদের সাফ মিশন। ২৫ জুন ক্যাবরেরার দল খেলবে মালদ্বীপের বিপক্ষে। ২৮ জুন শেষ গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান। আট জাতির এই আসরে লেবানন ও কুয়েত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বাইরে থেকে অতিথি হিসেবে অংশ নেবে।
মন্তব্য করুন