বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছে না সিঙ্গাপুর। বরং ঢাকায় মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিকে ঘিরে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে তারা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই লড়াইকে সামনে রেখে সিঙ্গাপুর কোচ সুতোম ওগুরা জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই মাঠে নামবে তার দল, তবে লক্ষ্য একটাই—জয়।
আজ সোমবার প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরের এই জাপানি কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন খুবই ভালো দল। আমরা জানি তারা কতটা উন্নতি করেছে। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর মতো ফুটবলার আসার পর তাদের খেলা আরও গোছানো ও ছন্দময় হয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুত, ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই।’
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে—১৮৩তম অবস্থানে। অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর ১৬১ নম্বরে। তবে কোচ ওগুরা র্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে মাঠের পারফরম্যান্সকেই বড় করে দেখছেন, ‘১০ বছর আগে কী হয়েছিল, সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমার দায়িত্বে আসার পর থেকে এই দলটিকে গড়ে তুলছি। আমরা বাংলাদেশকে সমীহ করছি, কারণ এখানকার ফুটবল-ভক্তরা আবেগী, মাঠভর্তি দর্শকের সামনে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শুধু হামজা নয়, ইতালি, কানাডা, ইংল্যান্ড থেকে বেশ কয়েকজন এসেছে। তারা দলের শক্তি বাড়িয়েছে। তবে আমাদের লক্ষ্য শুধু একজন নয়, পুরো বাংলাদেশ দলকে ঠেকানো।’
সিঙ্গাপুর সদ্য মালদ্বীপকে প্রীতি ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। তবে সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ ওগুরা। বরং তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশকে হারাতে হলে আমাদের ৯০ মিনিটই পরিকল্পিত ফুটবল খেলতে হবে। এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
সিঙ্গাপুর দলে যেমন অভিজ্ঞ হারুন রশিদের মতো ফুটবলার আছেন, তেমনি উঠে আসছে নতুন মুখও। ওগুরা মনে করেন, অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এই মিশ্রণ দলকে ভারসাম্য দিচ্ছে।
তবে শুধু কোচ নন, ডিফেন্ডার আমিরুল আদলি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে নিজেদের রোমাঞ্চের কথা। ‘আমরা মুখিয়ে আছি খেলতে। বাংলাদেশ অনেক ভালো দল, ভারতের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক ম্যাচও আমরা দেখেছি। শুধু হামজার বিপক্ষে নয়, পুরো দলের বিপক্ষেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার রাত ৭টায় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচ। পুরো দেশ যেখানে ঈদের ছুটির আমেজে, সেখানে জাতীয় দল মাঠে নামছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে। সিঙ্গাপুর সমীহ করছে ঠিকই, তবে তারা হাল ছেড়ে দিচ্ছে না। বাংলাদেশও ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস গড়তে মরিয়া।
সুতরাং, লড়াইটা যে জমজমাট হবে, তার ইঙ্গিত মিলছে দুই শিবির থেকেই। এখন দেখা যাক, জয় হাসবে কার মুখে!
মন্তব্য করুন